ভাঙাড়ির দোকানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, মালিকসহ দগ্ধ ৫

আগের সংবাদ

যুদ্ধের বাজারেও সিন্ডিকেট! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে অসাধু চক্র > বাজারে সরকারের মনিটরিং দুর্বল

পরের সংবাদ

ঢালিউড : যে সিনেমা নারীর কথা বলে

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বর্তমানে ঢাকাই চলচ্চিত্র যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, তার অনেকটাই অবদান রয়েছে চলচ্চিত্রের নায়িকা বা নারীদের। যেসব সিনেমা ঢাকাই ছবির সোনালি অতীতের সাক্ষী। এই সিনেমাগুলো শুধু ব্যবসায়িক সাফল্যের ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখেনি, নারীদের মধ্যে মনোবল সৃষ্টি কিংবা নানা জনমত গঠনেও ভূমিকা পালন করেছে। আলোচিত নারীপ্রধান সিনেমা নিয়ে এই প্রতিবেদন…
গোলাপি এখন ট্রেনে
১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় আমজাদ হোসেন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ববিতা, ফারুক, আনোয়ার হোসেন, রোজী সামাদ, আনোয়ারা, রওশন জামিল, এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ। নারীর জীবনের সংগ্রাম এই ছবির উপজীব্য, যা খুব সহজেই দর্শকদের হৃদয়
ছুঁয়ে গিয়েছিল।

তিন কন্যা
নারীপ্রধান চলচ্চিত্র ‘তিন কন্যা’ মুক্তি পায় ১৯৮৫ সালে। পরিচালনা করেছিলেন শিবলি সাদিক। ছবিটি বাবা হারানো ৩ বোনের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছিল। তিন কন্যা ছবিতে প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিন বোন সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা।

মেয়েরাও মানুষ
১৯৯৭ সালে ‘মেয়েরাও মানুষ’ ছবিটি মুক্তি পায়। পরিচালনা করেছিলেন মনোয়ার খোকন। অভিনয় করেছিলেন জসিম ও শাবানা, ঋতুপর্ণা ও চাঙ্কিপাণ্ডে। ছবির গল্পটি ছিল, সমাজের নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে নারীরাও যে এগিয়ে যেতে পারে তা নিয়ে।

পালাবি কোথায়
‘পালাবি কোথায়’ কমেডিধর্মী ছবি। হাস্যরসাত্মক বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে কর্মজীবী নারীর অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে এখানে। শাবানা, চম্পা ও সুবর্ণা মুস্তাফা অভিনয় করেছিলেন।

নিরন্তর
হুমায়ূন আহমেদের গল্পে ‘নিরন্তর’ ছবিটি আবু সাইয়ীদ পরিচালনা করেন। এটি মুক্তি পায় ২০০৬ সালে। হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘জনম জনম’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবিতে একজন নারীর জীবনের করুণ সংগ্রামকে উপজীব্য করা হয়েছে। অন্ধ বাবা, বেকার যুবক ভাই ও অসুস্থ মায়ের সংসার চালাতে এক শিক্ষিত নারীর পতিতা হয়ে ওঠার গল্প এখানে। এ নারীর চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শাবনূর।

আম্মাজান
১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল কাজী হায়াত পরিচালিত ‘আম্মাজান’ ছবিটি। আম্মাজান ছবিতে মান্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শবনম পারভীন। সন্তানের সামনে মায়ের সম্ভ্রমহানি ও তারই প্রতিশোধ নিতে মত্ত থাকা সন্তানের গল্পের ছবি ‘আম্মাজান’। মূলত মা ও নারীর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের ছবি এটি।

অগ্নি
আরেফিন শুভ ও মাহি অভিনীত প্রথম ছবি ‘অগ্নি’। মুক্তি পেয়েছিল ২০১৩ সালে। ছবিটিতে তুলে ধরা হয় এক নারীর লড়াইয়ের গল্প।
এছাড়াও ‘নিরন্তর’, ‘মাতৃত্ব’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘খাইরুন সুন্দরী’, ‘বিদ্রোহী পদ্মা’, ‘শাস্তি’, ‘শোভা’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘মৌসুমী’, ‘চার সতীনের ঘর’, ‘রানী কেন ডাকাত’, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’সহ অনেক ছবি আছে, যা নারীপ্রধান হিসেবে ঢাকাই ছবিকে সমৃদ্ধ করেছে।
হ মেলা ডেস্ক

মোল্লা বাড়ীর বউ
এটি ছিল ধর্মান্ধতার সমাজে নারীর অসহায়ত্ব ও নারীর লড়াইয়ের চিত্র। ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’ ২০০৫ সালে মুক্তি পায়। পরিচালনা করেছিলেন সালাহ উদ্দিন লাভলু। অভিনয় করেছিলেন মৌসুমী, শাবনূর, রিয়াজ, এ টি এম শামসুজ্জামান প্রমুখ।

মায়ের অধিকার
ব্যবসাসফল ছবি ‘মায়ের অধিকার’ হচ্ছে অন্যতম নারীপ্রধান একটি ছবি। শিবলি সাদিক পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ববিতা।

খাইরুন সুন্দরী
এ কে সোহেল পরিচালিত ‘খাইরুন সুন্দরী’ ছবিটি ২০০৭ সালে মুক্তি পায়। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন মৌসুমী। তার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস। এই ছবিটি রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করে। একই সঙ্গে ছবিতে মমতাজের গাওয়া ‘খাইরুন লো…’ শিরোনামের গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ছবির গল্পটি ছিল একজন নারীর প্রতি তার স্বামীর ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়ে। গ্রামীণ নারীরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কেমন করে স্বামীর ভালোবাসা বঞ্চিত হয়ে করুণ পরিণতি বরণ করে নেয় তারই একটি গল্প ছিল এখানে। এই ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য মৌসুমী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

মাতৃত্ব
‘মাতৃত্ব’ ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। একজন নারীর জীবনের সার্থকতা মাতৃত্বে। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মৌসুমী। তার বিপরীতে ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই হুমায়ুন ফরীদি সেরা অভিনেতা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আরো অভিনয় করেন নাসিমা খান, প্রবির মিত্র, অমল বোস, সিরাজ হায়দার, শহিদুল আলম সাচ্চু।

ম্যাডাম ফুলি
‘ম্যাডাম ফুলি’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। শিমলা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ম্যাডাম ফুলি। ছবিটির পরিচালক ছিলেন শহীদুল ইসলাম খোকন। এই চলচ্চিত্রে শিমলা ও ফুলি দুটি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি তার অভিষেক চলচ্চিত্রেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছবিটিও ছিল একটি নারীপ্রধান গল্পের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়