প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
খসড়া অনুযায়ী কনটেন্ট বলতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইন্টারনেট বা সমজাতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচারিত কোনো তথ্য, অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপন ও অশ্লীল তথ্য উপকরণের কথা বলা হয়েছে। এখানে অশ্লীল কনটেন্ট হচ্ছে প্রচলিত আইন ও এই নীতিমালা এবং তার অধীনে প্রণীত সংশ্লিষ্ট সব নির্দেশিকাবহির্ভূত কনটেন্ট। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ডিজিটাল কনটেন্ট স¤প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানই ওটিটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। ওটিটি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষসংক্রান্ত আইন, বিধিমালা না হওয়া পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো দপ্তর বা সংস্থা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর কার্যক্রম তদারকি করবে কর্তৃপক্ষ।
নিবন্ধন পেতে যা করতে হবে : নিবন্ধনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য আবেদন করতে পারবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ইকোসিস্টেমে উপস্থাপিত প্রকাশক, কিউরেটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, আনকিউরেটেড কনটেন্ট প্রোভাইডারদেরও নিবন্ধন নিতে হবে। পাশাপাশি এই নীতিমালার নিয়ম মেনে চলতে হবে। উল্লেখ্য, কিউরেটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার বলতে, যে প্রতিষ্ঠান নিজের নির্মিত বা অন্যের নির্মিত কনটেন্ট বিতরণ চুক্তির অধীনে প্রচার করে, তাদের বোঝানো হয়েছে। অন্যদিকে কোনো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজের অ্যাকাউন্ট বা পেজ (ইউটিউব, ফেসবুক, গুগল ইত্যাদি) থেকে কনটেন্ট প্রচার করে, তাদের আনকিউরেটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার বলা হয়েছে। অফেরতযোগ্য পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আবেদনপত্র নিতে হবে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিতে হবে না। এ ছাড়া ফেরতযোগ্য আর্নেস্টমানি বাবদ দেশি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ লাখ টাকা আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে। এখানেও সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড় পাচ্ছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ওটিটি চালানোর জন্য নিজ বিভাগের অনুমোদন থাকতে হবে। কি কি প্রচার করা হবে, তার উদ্দেশ্য ও তথ্য উপকরণের ধরন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন যাচাইয়ে ছাড়পত্রের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো হবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে। নিবন্ধন ছাড়া কনটেন্ট কোনো প্রতিষ্ঠান প্রচার করতে পারবে না।
নিবন্ধন ফি ও নবায়ন : নিবন্ধন গ্রহণের সময়ে ফি হিসেবে দেশি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। নিবন্ধনের মেয়াদ তিন বছর। নবায়নে দেশি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নবায়নে ব্যর্থ হলে জরিমানাও দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০ হাজার এবং বিদেশির ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।