আবহাওয়া অধিদপ্তর : আগামী তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে

আগের সংবাদ

ভাষানীতি প্রণয়নের তাগিদ : প্রযুক্তিতে পিছিয়ে, উচ্চশিক্ষায় অবহেলিত বাংলা ভাষা

পরের সংবাদ

ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে সড়ক ও মহাসড়ক : ভেড়ামারায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বালুবাহী ওভারলোড ডাম্পার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) থেকে : ভেড়ামারা উপজেলায় আইন অমান্য করে ওভারলোড নিয়ে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অন্তত শতাধিক বালুবাহী ট্রাক্টর, ট্রাক ও ১০ চাকার ডাম্পার।
এসব যানের চাকার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক এখন ভেঙে একাকার। ফলে প্রতিদিন এলাকাবাসীসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পরিবহন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। কেবল সড়কের ক্ষতি নয়, অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। গত দুই বছরে বালুবাহী ট্রাকের চাকায় অন্তত ২০ জন প্রাণ দিয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার জুনিয়াদহ, রায়টা, গোলাপনগর, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন, মসলেমপুর, বারমাইল এলাকা থেকে অবৈধ খননযন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে অবাধে বালু তোলা হচ্ছে নিয়মিত। এই কয়টি বালুমহল থেকে প্রতিদিন ১০০-১৫০ গাড়ি বালু জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার বাঁধের উপর দিয়ে ভারী ডাম্পার, অবৈধ টাক্টর ও ট্রাক নামছে পদ্মানদী তীরে। প্রতিটি ১০ চাকার ট্রাক বা ডাম্পার বহন করছে অন্তত ৪৫-৫০ টন বালু। ছয় চাকার ডাম্পার বহন করছে ২৫-৩০ টন। পাঁচ টন বহন ক্ষমতার ট্রাকে বালু যাচ্ছে ১১-১৪ টন। এলাকাবাসী জানায়, বালুবহনকারী বেপরোয়া যান চলাচলে ধুলাবালি উড়ে রাস্তার দুপাশের ঘরবাড়িতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ভেড়ামারা-রায়টা, ভেড়ামারা-দৌলতপুর সড়ক ছাড়াও জুনিয়াদহ, বাহিরচর পৌর এলাকার বিভিন্ন সংযোগ সড়কে ডাম্পার বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটি এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
১০ চাকার ডাম্পার বালুবাহী ট্রাক বহন করছে অন্তত ৪৫-৫০ টন বালু। ছয় চাকার ডাম্পার বহন করছে ২৫-৩০ টন। পাঁচ টন বহন ক্ষমতার ট্রাকে বালু যাচ্ছে ১১-১৪ টন। আর অনভিজ্ঞ চালকরা বেখেয়ালভাবেই চালাচ্ছে। গত কয়েক দিনে এসব ডাম্পার ট্রাকের ধাক্কায় কয়েকজন নিরীহ মানুষের মৃত্যু আতঙ্কিত করে তুলেছে।
সরজমিন উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসন-পুলিশ সদস্যদের সামনে দিয়ে অবাধে চলাচল করছে বালুবাহী ডাম্পার ট্রাক। কিন্তু এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে কোনো আইন প্রয়োগ না করে শুধু মোটরসাইকেল ধরপাকড় করছে সংশ্লিষ্টরা। সড়কের ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, সড়ক নষ্টের অন্যতম কারণ ওভার লোড বহন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তারা একাধিকবার জানিয়েছেন। বিআরটিএ কুষ্টিয়ার সার্কেলের সহকারী পরিচালক এ টি এম জালাল উদ্দিন বলেন, ওভার লোড বহন ও অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়