ঢাবির সাবেক অধ্যাপক শামসুল হক মোল্লা মারা গেছেন

আগের সংবাদ

বদলে যাচ্ছে মাদকবিরোধী যুদ্ধ

পরের সংবাদ

প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিজিএমইএ > পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫০ শতাংশ বহালের দাবি : পোশাক শিল্পের প্রতি সরকারের সুনজর আছে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের জন্য উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ ও বিদ্যমান করপোরেট কর সুবিধা আরো ৫ বছর বহাল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সেই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ আয়কর মওকুফের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিজিএমইএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। বিজিএমইএ প্রতিনিধি ছাড়াও আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন এনবিআরের সদস্য (শুল্ক নীতি) মাসুদ সাদিক, সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা, সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমেদ।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালোভাবে মোকাবিলা করে এখন তার ইতিবাচক ফল পাচ্ছি। কোভিডের আগের অবস্থার তুলনায় আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। এখন মাসে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
রপ্তানির এমন ঊর্ধ্বমুখী ধারা আরো বাড়ানোর সুযোগ আছে। এ সুযোগ নেয়ার জন্য পণ্যমূল্য কমানোসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে উৎসে কর বিদ্যমান শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ, করপোরেট কর হার সাধারণ কারখানার জন্য ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আরো ৫ বছর পর্যন্ত বহাল রাখার অনুরোধ করছি।’ আর উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ হারে যে আয়কর নেয়া হয় তা রহিত করার অনুরোধ জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে বেশি সমস্যা হচ্ছে এইচএস কোড দিয়ে কোনো পণ্য চিহ্নিতকরণ। কোডের পণ্য জাহাজীকরণ করতে জটিলতার কারণে ক্রেতার পণ্য পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এমন জটিলতা পরিহারের অনুরোধ করছি।
কোভিড পরবর্তী অর্ডার বাড়ার পর থেকে বাংলাদেশের সুতার চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেশীয়ভাবে চাহিদার মাত্র ২ শতাংশের মতো জোগান দিতে পারি।
সুতার আমদানি চাপ বাড়ার কারণে এখন দেশীয় উদ্যোক্তারাও সুতা তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছেন। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে তুলা আমদানিতে বেনাপোল বন্দরসহ কয়েকটি বন্দরে তুলা আমদানিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ভারত থেকে বড় চালানের এলসি থেকে আংশিক তুলা আমদানি করতে গেলে স্থলবন্দরগুলো তা করতে দিচ্ছে না। বড় চালানের বিপরীতে ছোট ছোট লটে তুলার চালান আনতে পারলে আমাদের ওই পণ্যের গোদামজাতসহ ব্যয় কমে যাবে। এভাবে সক্ষমতা বাড়বে। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ও আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণের অনুরোধ জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পোশাক শিল্পের প্রতি সরকারের সুনজর আছে। কোভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকার যেসব সুযোগ-সুবিধা তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য দিয়েছে আমি মনে করি সেই সুবিধা নিয়েই আজকে এই শিল্পে অর্ডার বেড়েছে। আমরাও পোশাক শিল্পের উন্নতি চাই। সমস্যা খুঁজে বের করে তার সমাধান করছে এনবিআর। তবে ঢালাওভাবে সুবিধা দিতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে তার অপব্যবহার হতে পারে। তিনি বলেন, এইচএস কোড সমস্যার ক্ষেত্রে বিজিএমইএর বর্ণনা থাকলে তা বিবেচনা করব।
প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পোশাক শিল্পে সাবকন্ট্রাক্টের বিপরীতে ভ্যাট আদায় থেকে অব্যাহতি, অনূর্ধ্ব ১০ কেজি ক্যাপাসিটির ওয়াশিং ও ড্রাই মেশিন আমদানিকালে মূলধনী যন্ত্রপাতির মতো রেয়াতি হারে শুল্কায়নের সুযোগ, সব অগ্নি নির্বাপণ পণ্য বা উপকরণ বিকল বা নষ্ট হলে অগ্নি প্রতিরোধক দরজার মতো একই শর্তে প্রতিস্থাপনের জন্য রেয়াতি হারে শুল্কায়নের মাধ্যমে আমদানি সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়