ঢাবির সাবেক অধ্যাপক শামসুল হক মোল্লা মারা গেছেন

আগের সংবাদ

বদলে যাচ্ছে মাদকবিরোধী যুদ্ধ

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতি : ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপির রাজনৈতিক কোনো ভিত্তি নেই

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপির কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে উন্মত্ত বিএনপি নেতাদের এমন নির্লজ্জ ও বেপরোয়া আচরণ বরাবরের ন্যায় জাতি এখনো দেখছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে এই বিবৃতি দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের মধ্যে কোনো আবেদন তৈরি করতে না পেরে বা জনস্বার্থে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না দিয়ে বিএনপি নেতারা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে লাগাতারভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি তার রাজনৈতিক নীতির উত্তরাধিকার পরিত্যাগ করতে পারেনি। বরং অপরাজনীতির হাতিয়ারগুলোকে শানিত করে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অপকৌশল নিয়েছে এবং জাতিকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে মির্জা ফখরুল শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে সার্চ কমিটি নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। আশা রাখি, সার্চ কমিটির সদস্যরা তাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে সক্ষম হবেন।
সার্চ কমিটির অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে। সার্চ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা কার্যপ্রণালি সমাপ্ত করার পূর্বেই মির্জা ফখরুল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কমিটি নিয়ে লাগামহীন মন্তব্য করে চলেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সার্চ কমিটি গঠন এবং তার সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন এবার একটি সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে।
অথচ আমরা দেখেছি, ২০০৫ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন অবস্থায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিচারপতি এম এ আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন! গণতান্ত্রিক রীতিনীতি তো দূরের কথা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করা বিএনপির কাছে বর্তমান সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক ও আইনি প্রক্রিয়াকে তামাশা বলেই মনে হবে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, গণতন্ত্রের শত্রæ বিএনপি যতই পোশাকি গণতন্ত্রের আবরণে ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজেদের লুকানোর চেষ্টা করুক না কেন, জাতির কাছে তাদের স্বরূপ অনেক আগেই উন্মোচিত। এ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে অসাংবিধানিক ও অবৈধ উপায়ে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। পরবর্তী সময়ে বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়