করোনামুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

পাহাড়ে কেন বারবার রক্তপাত : আধিপত্য বিস্তারের লড়াই > বেড়েছে টার্গেট কিলিং > অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধের তাগিদ

পরের সংবাদ

ভাটারা থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার : পরিবারের দাবি শ্বাসরোধে হত্যা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় প্রেমিকার বাসায় ফাঁস দেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাজমুল শাহ সেজানের (২০) লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা। এরপর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। এদিকে সেজান কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না বলে মনে করেন তার বাবা সাইফুল ইসলাম। তাকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তার। গতকাল ঢামেক মর্গে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি। সেজানের বাবা বলেন, ঘটনার আগের রাতে গত সোমবার ছোট ভাই সিহাবকে নিয়ে বাণিজ্যমেলায়ও গিয়েছিল সেজান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা দুজনই ফিরে আসে। তবে ছোটভাইকে বাসায় পাঠিয়ে দিলেও সে আর বাসায় ফেরেনি। পরের দিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা খবর পান, সেজানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেজান কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। একটি হত্যা মামলা করব। সেজানের মৃতদেহটি কালাচাঁদপুরের বাসায় নিয়ে সেখানে প্রথম জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার সেজানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মৌ ইসলাম মীম নামের এক তরুণী জানান, সেজান ও সে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কাজ করত। এর কারণে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার বাসাতেও যাতায়াত ছিল সেজানের। গত মঙ্গলবার বিকালে সেজান তাকে ফোন দিয়ে ভাটারা নতুন বাজার ৫৩/৩ বাসায় যায়।
তবে সে সময় তার মা বাসায় ছিল না। পাশের রুমে বসে মায়ের আসার অপেক্ষায় ছিল সেজান। মৌয়ের মা নুরনাহার জানান, গত মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বাসায় এসে দেখি একটি রুমে সেজান ফ্যানের হুকের সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। পরে মৌয়ের সহায়তায় সেজানকে ঢামেক নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কেন সে আমাদের বাসায় এসে এই কাজ করল এখনো তা বুঝতে পারছি না।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সেজানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সেজান ছিল দ্বিতীয়। ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র সে। পরিবারের সঙ্গে থাকতো গুলশান কালাচাঁদপুরে। মৌ ইসলাম মীমের সঙ্গে সেজানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেজানের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেমিকা ও তার মাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান জানান, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত আরো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একটি অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়