আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার : আরসাপ্রধানের ভাই শাহ আলী আটক

আগের সংবাদ

বালু ব্যবসায়ীদের কারণে ৩ মাস ধরে বন্ধ ড্রেজার : নদী পুনরুদ্ধার কাজে বাধা

পরের সংবাদ

অক্সফাম প্রতিবেদন : করোনায় বিশ্বে শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মহামারি বহু মানুষকে গরিব বানালেও বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পদ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে উঠে এসেছে দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে। এ বরাতে বিবিসি গতকাল সোমবার জানায়, মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনীর সম্মিলিত সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ২১ হাজার মানুষ। ফোর্বস ম্যাগাজিনের বরাতে অক্সফামের প্রতিবেদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী হিসেবে, ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, বেরনাহ আরনোহ ও পরিবার, বিল গেটস, ল্যারি এলিসন, ল্যারি পেইজ, সের্গেই ব্রেইন, মার্ক জাকারবার্গ, স্টিভ বলমার ও ওয়ারেন বাফের নাম উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারি শুরুর পর যৌথভাবে তাদের মূলধন ৭০০ বিলিয়ন বা সাত লাখ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দেড় ট্রিলিয়ন বা ১৫ লাখ কোটি ডলার হয়েছে। তবে তাদের সবার সম্পদ সমানভাবে বাড়েনি, যেমন ইলন মাস্কের সম্পদ ১,০০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, অন্যদিকে বিল গেটসের সম্পদ বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
প্রতি বছরই দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভা শুরুর আগে অক্সফাম বৈশ্বিক বৈষম্যের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। অক্সফাম জিবির প্রধান নির্বাহী ড্যানি শ্রীসকান্দারাজাহ এ বিষয়ে বলেন, এ বছর, যেটা ঘটছে তা হিসাবের বাইরে। এই মাহামারি চলার সময় প্রায় প্রতিদিন একজন করে নতুন বিলিওয়েনেয়ার তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে লোকসানে পড়ে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে ১৬ কোটি মানুষ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার গভীরে কোথাও কোনো ত্রæটি রয়ে গেছে আমাদের।
সুইজারল্যান্ডের নৈসর্গিক প্রেক্ষাপটে দাভোসে ফি-বছর আয়োজিত সভায় সাধারণত কয়েক হাজার রাজনৈতিক ও করপোরেট প্রতিনিধি, বিনোদন ভুবনের তারকা, প্রচার কর্মী, অর্থনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা জড়ো হয়ে আলোচনা ও মতবিনিময়ে অংশ নেন। তবে মহামারির কারণে গতবারের মতো এবারো গতকাল সোমবার থেকে এই সভা অনলাইনে হচ্ছে। শুরুতে শারীরিক উপস্থিতিতে সভা আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও ওমিক্রনের উৎপাতের আশঙ্কায় শেষমেশ তা বাদ দেয়া হয়।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যউপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগের অভাব, ক্ষুধা, জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতি চার সেকেন্ডে একজনের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। মহামারির পর নতুন করে ১৬ কোটি মানুষের দৈনিক জীবনযাপন ব্যয় সাড়ে পাঁচ ডলারের নিচে নেমে গেছে। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে দিনে সাড়ে পাঁচ ডলার খরচ করার সামর্থ্যকে দারিদ্র্যসীমা হিসেবে বিবেচনা করে বিশ্ব ব্যাংক। শ্রীসকান্দারাজাহ বলেন, একটি বৈশ্বিক সংকটের মুখেও আমাদের বৈষম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা শীর্ষ ধনীদের নজরকাড়া মুনাফা অর্জনের পথ সুগম করে দিয়েছে। কিন্তু গরিবদের রক্ষায় এ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। রাজনৈতিক নেতাদের সামনে এখন একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে আমাদের এই সংকটপূর্ণ পথ বদলে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক কৌশল গ্রহণের।
নতুন অর্থনৈতিক কৌশলে আরও প্রগতিশীল কর ব্যবস্থার প্রচলন করা উচিত; যেখানে সম্পদ ও মূলধনের ওপর উচ্চতর শুল্ক আরোপ করা থাকবে, এবং উন্নততর সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও সবার জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে এই রাজস্ব ব্যয় করা হবে। আরো বিস্তৃত উৎপাদন ও সরবরাহ দ্রুততা নিশ্চিতে কোভিড-১৯ টিকার মেধাস্বত্ব তুলে নেয়ারও আহ্বান জানায় অক্সফাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়