কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে নারীদের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নারীরা নিজ সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারীদের এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে আয়োজিত ‘উইমেন পিস এন্ড সিকিউরিটি সেমিনার ২০২২’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত নারীদের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করছে। সংসদে বর্তমানে ২৩ জন সরাসরি নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্যের পাশাপাশি ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্তকরণে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারীদের এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, যে কোনো দুর্যোগে নারীরা বৈষম্যের শিকার হন। কোভিডকালীনও নারীরা অনেক দুর্ভোগ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যা অপ্রত্যাশিত। নারী নির্যাতন, লিঙ্গ বৈষম্য ও সামাজিক অসমতাকে জোরালোভাবে প্রতিরোধ করা জরুরি। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই সমতাভিত্তিক বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে নারীরাই সক্রিয় এজেন্ট।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে নারীদের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশে নারী শিক্ষার হার অনেক বেড়ে গেছে। নারী ক্ষমতায়ন জোরদার হচ্ছে।
অন্যদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান, ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম, ড. রাসেদ উজ জামান, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মসিউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমা বেগম, ড. রুবানা হক প্রমুখ সেমিনারে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।