চট্টগ্রামে সৈকতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও : বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন > ঢিলেঢালা অভিযানে ১১ জনকে জরিমানা

পরের সংবাদ

সিইসি : শামীম ওসমান বিধি ভেঙেছেন, তবে শাস্তিযোগ্য নয়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারের মধ্যে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করায় আচরণবিধি ভঙ্গ হলেও তা শাস্তি দেয়ার মতো নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে মর্গান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে সিটি নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
সিটি করপোরেশন হওয়ার পর আগামী ১৬ ডিসেম্বর তৃতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসী। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী, যিনি গত দশ বছর ধরে ওই দায়িত্ব সামলে আসছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আছেন বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বিএনপি নির্বাচনে না আসায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সেজন্য তাকে দলীয় পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে ভোট হলে বরাবরই আলোচনায় থাকেন প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্য শামীম ওসমান। গত ১০ জানুয়ারি তিনি সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রতীক ‘নৌকার পক্ষে নামার’ ঘোষণা দেন। তার ওই ঘোষণা নিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইভীও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, একজন সংসদ সদস্য হয়ে শামীম ‘মাঠে নামলে’ তাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলনে ‘আচরণবিধি ভঙ্গ’ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, সাংসদরা প্রচারে অংশ নিতে পারবে না। প্রচারে নামলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
সিইসি বলেন, যদিও শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলনটি আচরণবিধি ভঙ্গের মধ্যে পড়ে। তবে তাকে নোটিস বা শাস্তির আওতায় আনতে হবে- এমন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ভোটের পরিবেশ নিয়ে তিনি শঙ্কার কিছু দেখছেন না। আগামী ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের মানুষ ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই’ ভোট দিতে পারবে বলে তার বিশ্বাস।
যারা রাজনীতি করেন, তারা তাদের মতো করে অনেক কথা বলতে পারেন, আমরা আমাদের মতো করে কাজ করি। এতে যদি তাদের কোনো সুবিধা হয়, হতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো রকমের শৈথিল্য নেই।
গত ইউপি নির্বাচনে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, গত নির্বাচনে লোক মারা গেছে, কীভাবে মারা গেছে আমি সেটা আপনাদের বলার চেষ্টা করেছি। কীভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর সেই দায়বদ্ধতা আসে- সেটা আমার হিসাবে মেলে না। নির্বাচন হয়ে গেলে ভোটাররা যখন বাড়ি চলে যায়, নির্বাচনী মালামাল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার পথে শত শত লোক এসে তাদের ঘেরাও করে।
সিইসি বলেন, ওই সময় নির্বাচন কমিশনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে যারা থাকেন, তারা অনেক চেষ্টা করেন। তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে অনেক পুলিশ সদস্য রক্তাক্ত হন, নিহতও হন। এ ব্যাপারটি প্রার্থী ও সমর্থকদের সহনশীলতা এবং নির্বাচনকালীন আচরণবিধি মেনে চলা ছাড়া অন্য উপায়ে দূর করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন নুরুল হুদা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়