রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়ল সহ¯্রাধিক ঘর

আগের সংবাদ

তিন জট থেকে মুক্তির প্রত্যাশা > নাসিক নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মতামত : জলজট, যানজট ও আবর্জনা জট নারায়ণগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা

পরের সংবাদ

অবৈধ ওয়াকিটকি মামলায় সু কির চার বছর দণ্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু কিকে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি এবং ব্যবহারের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স গতকাল সোমবার এ খবর জানায়। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্দি সু কির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১১টি মামলা হয়েছে। সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এ নেত্রীর সর্বোচ্চ ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি দেয়া এবং করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে এক মামলায় গত ডিসেম্বরে সু কির চার বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে তা কমিয়ে দুই বছর করা হয়।
রয়টার্স জানায়, সোমবার দেয়া এ রায়ে মিয়ানমারের আইন লঙ্ঘন করে একটি অননুমোদিত ওয়াকিটকি নিজের কাছে রাখার দায়ে দুই বছর এবং একটি সিগন্যাল জ্যামার সেট রাখায় এক বছরের সাজা দেয়া হয়। দুটি সাজাই একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে জানায় ওই সূত্র।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোয় সামরিক জান্তার একটি বিশেষ আদালতে সু কির রুদ্ধদ্বার বিচার হচ্ছে। গণমাধ্যমকে এই বিচার প্রক্রিয়ার খবর জানানো হচ্ছে না এবং সু কির আইনজীবীদেরও সংবাদ মাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়া হচ্ছে না। রয়টার্স লিখেছে, মামলার বিচারকাজে ৭৬ বছর বয়সি সু কিকে কয়েদিদের পোশাক হিসেবে সাদা জামা এবং বাদামি রংয়ের লুঙ্গি পরে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে।
সামরিক অভ্যুত্থানে সু কি আটক হওয়ার পরপরই পুলিশের একটি নথিতে বলা হয়েছিল, তার বাড়িতে ৬টি ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে। সেগুলো অবৈধভাবে আমদানি করে অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছে। গত মাসে দেশটির সামরিক শাসক মিন অং লাইং জানান, সু কি এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে বিচার চলাকালীন একই স্থানে রাখা হবে এবং তাদের আপাতত কারাগারে পাঠানো হবে না। সু কির দল এনএলডির অন্যতম নেতা মিন্টকেও গত ডিসেম্ববরে ‘গণ অসন্তোষে উসকানি’ এবং ‘কোভিডবিধি ভাঙার’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করে সাজা দেয় আদালত।
সামরিক শাসনের বিরোধিতা করায় সু কি ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত বহু বছর গৃহবন্দি ছিলেন। ওই বছর মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বড় ধরনের জয় পায়। ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে তার দল ফের জয় পায়। এর কয়েক সপ্তাহ পর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচন কমিশন সামরিক বাহিনীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিল। পরে স্বাধীন পর্যবেক্ষকরাও জানান, সেনাবাহিনীর ওই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি। ওই অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অশান্তি চলছে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায়। সেই বিক্ষোভ দমাতে সামরিক বাহিনীর দমনপীড়নের মাত্রাও বেড়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজনৈতিক কর্মী, অধিকারকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ গণতন্ত্রপন্থি ১০ হাজারের বেশি মানুষকে। পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের হিসাবে, ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০৩ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়