কাগজ ডেস্ক : গত বসন্তে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের স্মৃতি ফিরে আসছে ভারতে। করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সুনামিতে একদিনেই শনাক্ত হয়েছে ৯০ হাজার ৯২৮ জন নতুন রোগী। রয়টার্স জানিয়েছে, একদিনে শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৫৭ শতাংশ বেশি। মঙ্গলবার সব মিলিয়ে ৫৮ হাজার ৯৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
মহামারির দুই বছরে সব মিলিয়ে সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য এসেছে ভারত সরকারের খাতায়।কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে বুধবার আরো ৩২৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগ। তাতে সব মিলিয়ে কোভিডে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৬ জনে পৌঁছেছে। করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপটে গত বছর মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতকে। এর মধ্যে ৭ মে রেকর্ড ৪ লাখ ১৪ হাজার রোগী শনাক্ত হয়।
সে সময় ভারতের হাসপাতালগুলোতে রোগীর উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে ট্রলি আর হুইলচেয়ারে রেখেও রোগীদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়। অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সংকট তীব্র হয়ে ওঠে; দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের অভাবে অনেকের মৃত্যুও হয়। সেই পরিস্থিতি সামলে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিল ভারত। দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছিল ২ শতাংশের নিচে। কিন্তু নভেম্বরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন পুরো বিশ্বের মতো ভারতকেও নতুন করে আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে। বুধবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ৪ শতাংশের সামান্য উপরে ছিল। এই মুহূর্তে পুরো ভারতে কোভিড নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৪০১ জন, অর্থাৎ আক্রান্ত হওয়ার পর তারা এখনেও সেরে ওঠেননি। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৪ জন।
বুধবারই ওমিক্রনে ভারতে প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছে। কোভিড রোগীদের শরীর থেকে ভাইরাসের নমুনা নিয়ে যেসব জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তার মধ্যে ২ হাজার ১৩৫ জনের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।