চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ : ১০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন কাল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ১০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। ‘অস্তিত্বের লড়াইয়ে আসুন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হই’ স্লোগান নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। এরপর হবে র‌্যালি। বিকাল ৩টায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও এই সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলন উপলক্ষে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সভাকক্ষে ঐক্য পরিষদের নেতারা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত। আরো উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ, সন্তোষ শর্মা, নারায়ণ সাহা মনি প্রমুখ।
এডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে হলে দেশত্যাগ নয়, দেশের মাটিতেই একাট্টা হয়ে মাঠে থাকতে হবে। যদি তা না করি নতুন প্রজন্মসহ যারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার কথা উল্লেখ করে ঐক্য পরিষদের এই নেতা বলেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে কোনো রাজনৈতিক দলের ওপরই ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আস্থা রাখতে পারছে না। তবে এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বিকল্প আর নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য যে সুযোগগুলো দেন কয়েক পর্যায়ে বাধা পেয়ে তার সুফল আমাদের কাছে এসে পৌঁছায় না।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সাত দফা দাবি গৃহীত হয়। এর মধ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাঁচটি দাবি মেনে নেয়ার জন্য ২০১৮ সালে আরেকটি মহাসমাবেশ থেকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সরকারি দল আওয়ামী লীগ একে বিবেচনায় নিয়ে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্যে পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের অঙ্গীকার করে। এসব অঙ্গীকার পূরণ আজ সময়ের দাবি। এ দাবির সঙ্গে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিও রয়েছে।

সম্প্রতি, দুর্গোৎসব চলাকালে এবং পরবর্তীতে দেশব্যাপী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার তথ্য তুলে ধরে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, এসব ঘটনার প্রতিবাদে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। সেই সময় বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়। ১৫ জানুয়ারি আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি। ২৫/২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশ থেকে রোডমার্চ করে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচি পালন আমাদের পূর্বঘোষিত। ইতোমধ্যে দুই লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া হবে। তবে দেশে যেহেতু ওমিক্রনের সংক্রমণ চলছে পরিস্থিতি যদি অবনতির দিকে যায় সেক্ষেত্রে কর্মসূচি ঠিক রেখে তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে তিন বছর পার করেছে। আগামী দুই বছর তারা নির্বাচনমুখী হয়ে পড়বে। তখন এদিকে সরকারের চোখ ফেরানোর সময় পাবে না। তাই আমাদের যা করার চলতি বছরের মধ্যেই করতে হবে। ২০২৩ সালের আগেই আরেকটি মহাসমাবেশ করতে চাই। আর সেই মহাসমাবেশ থেকে যে সুপারিশ আসবে তা উত্থাপন করা হবে।
সম্মেলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, আইনে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অর্পিত সম্পত্তি ফেরত, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্যভূমি কমিশন আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয়, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারি খরচে পুনর্নির্মাণ-পুনর্বাসন করার দাবিগুলোও সম্মেলন থেকে পুনর্ব্যক্ত করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়