চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

মিতু হত্যা মামলা : বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার অভিযোগে কারাগারে থাকা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন আবারো নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এদিকে, গত ৩০ ডিসেম্বর মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নিজের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআিই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। আদালত আগামী ৯ জানুয়ারি বাবুলের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন। যদিও একই ঘটনায় গত বছরের ১২ মে মিতুর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাবুল ইতোমধ্যে কারাগারে আছেন।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা ও তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দিতে খুনের সঙ্গে বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার তথ্য এসেছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। গত বছরের ২১ অক্টোবর আসামি ভোলা ১৬৪ ধারায় আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে জানান, বিশ্বস্ত সোর্স কামরুল ইসলাম শিকদার মুছাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে নিজের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে খুন করায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। ওই জবানবন্দির পর মিতু খুনের ঘটনায় কারাবন্দি বাবুল আক্তারকে তার দায়ের করা মামলায় আসামি হিসেবে দেখানোর আবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মুক্তিযোদ্ধা ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, বাবুল আক্তারের জামিন চেয়ে তার আইনজীবী আবেদন করেছিল আদালতে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় তার বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের জামিনের জন্য দ্বিতীয় দফা আবেদন করা হয়েছিল। এর আগে গত বছরের ১৮ আগস্ট আরো একদফা জামিনের আবেদন করে ব্যর্থ হন বাবুল আক্তার। বাবুল আক্তারের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আমরা মিস কেস করে দ্বিতীয় দফা জামিনের আবেদন করেছিলাম। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও কুপিয়ে খুন করা হয় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। মিতু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম তার জবানবন্দিতে ‘হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি ভোলা সরবরাহ করেছিল’ বলে জানিয়েছিল।
গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন প্রথম দিকে জামাতার পক্ষে কথা বললেও পরে ২০১৭ সালে নিজেই এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহের আঙুল তোলেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব প্রথমে নগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবির কাছে থাকলেও ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তদন্তভার পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইর ওপর। এরপর ধীরে ধীরে জট খুলতে থাকে এই মামলার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়