চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম ও নেত্রকোনায় মৃত্যু বেশি >পানিতে ডুবে দুই বছরে ২১৫৫ জনের মৃত্যু; ৮৩ শতাংশই শিশু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে প্রতি বছর যে সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয় তার ৪৩ শতাংশই হয় পানিতে ডুবে। বিভাগ বিবেচনায় চট্টগ্রাম আর জেলার বিবেচনায় নেত্রকোনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। মাসভিত্তিক বিবেচনায় আগস্ট মাসে আর লিঙ্গভিত্তিক বিবেচনায় পুরুষ এবং ছেলে শিশুরা বেশি মারা যায়।
গত ২ বছরে (২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত এমনটাই বলছে। গেøাবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টির সংগৃহীত তথ্য বলছে, এই দুই বছরে পানিতে ডুবে মৃত্যু নিয়ে ১ হাজার ৪২৬টি ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। যদিও সারাদেশে ১ হাজার ৭৯৯ শিশুসহ মোট ২ হাজার ১৫৫ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। মৃতদের ৮৩ শতাংশ শিশু।
গতকাল বুধবার সকালে ডেইলি স্টার মিলনায়তনে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে এক জাতীয় পরামর্শ সভায় এই তথ্য জানানো হয়। জিএইচএআইয়ের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সমষ্টি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী এবং জিএইচএআইয়ের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস। জিএইচএআই আঞ্চলিক পরিচালক বন্দনা সাহা এতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন সমষ্টির পরিচালক মীর মাসরুর জামান।
প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯৭ জন, ঢাকা বিভাগে ৪৩৮ জন, রাজশাহীতে ২৭০, রংপুরে ২৫২, ময়মনসিংহে ২৩০, বরিশালে ১৮৬, খুলনায় ১৫৮ জন ও সিলেট বিভাগে ১২৪ জন পানিতে ডুবে মারা গেছে। নেত্রকোনা জেলায় ৯১, চট্টগ্রামে ৮১ জন, নোয়াখালীতে ৭৩ ও কুড়িগ্রাম জেলায় ৬৯ জন মারা গেছে। বয়স বিবেচনায় চার বছর বা এর কম বয়সি ৮৫৭ জন, ৫ থেকে ৯ বছর বয়সি ৬৫৫ জন, ১০ থেকে ১৪ বছরের ২১২ জন এবং ১৫ থেকে ১৮ বছরের ৭৩ জন। ৩৫৮ জনের বয়স ছিল ১৮ বছরের বেশি। এ সময়ে ১৭১টি পরিবার একাধিক স্বজন হারায়। এসব পরিবারের ৩৪৩ জন সদস্য পানিতে ডুবে মারা যায়। পানিতে ডুবে নিহতদের মধ্যে ৮০১ জন নারী। এদের মধ্যে কন্যা শিশু ৭১৭ জন। পুরুষ মারা যায় ১ হাজার ৩১১ জন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৫৭ জন শিশু। গত ২ বছরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে আগস্ট মাসে। পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নজরদারি না থাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পানিতে ডোবার ঘটনা ঘটে (৮৯ শতাংশ)। অধিকাংশ শিশু বড়দের অগোচরে বাড়ি সংলগ্ন পুকুর বা অন্য জলাশয়ে চলে যায় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে উত্থাপন হলে সেটি দ্রুত অনুমোদনের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর বিষয়টি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে আছে এবং শিশু একাডেমির সহযোগিতায় আমরা একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছি।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। এ নিয়ে বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পানিতে ডোবা প্রতিরোধ অনেক চ্যালেঞ্জিং।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়