মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র : মাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত

আগের সংবাদ

সংসদ প্রাণবন্ত করার তাগিদ : বিশ্লেষকদের মতে, ‘৭০ ধারা বড় বাধা’, সংশোধনীর দাবি, কার্যকর বিরোধী দলের বিকল্প নেই

পরের সংবাদ

রাণীনগরে দোকান ভাঙচুর করে জায়গা দখল, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : রাণীনগরে প্রকাশ্যে ইটের চারটি দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বেতগাড়ী-ঘোষগ্রাম বাজারে সিরাজসহ তার ভাইদের চারটি দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেয় একই গ্রামের আব্দুল মতিন গং। গত শনিবার প্রকাশ্যে এসব ইটের তৈরি দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নিয়েছে তারা বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ঘোষগ্রামের রসুলের ছেলে আব্দুল মতিন ও ইউনুছকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রবিবার গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সরজমিন গিয়ে জানা গেছে, বেদগাড়ী বাজার ঘোষগ্রামের মৃত রকিম উদ্দিন ১৯৭২ সালে একই গ্রামের বাছতুল্লাহ ও বাছেরের কাছ থেকে বেতগাড়ী বাজারে ৫ শতক জমি ক্রয় করেন।
এরপর ওই জায়গাতে বেশ কিছু ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছেন তিনি। রকিম উদ্দিন মারা যাওয়ার পর তার তিন ছেলে বেলাল, সিরাজ ও দুলাল ওই সব সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছেন। গত ২ মাস আগে তাদের নির্মাণকৃত কয়েকটি ইটের তৈরি দোকান ঘরের বেহাল অবস্থা হলে সেসব দোকান মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেন তারা।
হঠাৎ করে একই গ্রামের রসুলের ছেলে আব্দুল মতিন গং ওখানে এক শতক জায়গা তাদের আছে বলে দাবি করেন এবং জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
জায়গা ও দোকান ঘরের মালিক সিরাজ বলেন, হঠাৎ করে শনিবার মতিনসহ তার কয়েকজন ভাইয়ের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল আমাদের জায়গাতে নির্মাণকৃত ইটের তৈরি চারটি দোকানঘর ভাঙচুর করে দোকান ঘরের সামনে ঘরের টিনের ছাউনি দিয়ে ওই জায়গা তাদের দখলে নিয়েছে। এতে করে দোকান ঘর ও দোকানের ঘরের মধ্যে থাকা মালামালসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
সিরাজ বলেন, ওই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা করার পর আমরা আদালত থেকে আমাদের পক্ষে রায় পেয়েছি। এরপর ওই দোকান ঘরগুলোর ওপরে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুল মতিন বলেন, ১৯৯০ সালে আমার বাবা ওই জায়গা কিনেছিলেন।
সেখানে আমাদের ১ শতক জায়গা রয়েছে। সেই জায়গা সিরাজসহ সিরাজের ভাইয়েরা দখলে রেখেছিলেন। আমরা আমাদের জায়গাতে গিয়েছি অন্যের জায়গাতে যায়নি। এছাড়া তারা কোনো দোকানঘর ভাঙচুর করেননি বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, দোকানঘর ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে রবিবার আদালতে পাঠিয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়