পরিকল্পনামন্ত্রী : দেশে রাজনীতিবিদের চেয়ে আমলাতন্ত্রের দাপট বেশি

আগের সংবাদ

শ্যামল দত্ত’র প্রত্যয় : চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাবে ভোরের কাগজ

পরের সংবাদ

তজুমদ্দিনে বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শরীফ আল-আমীন, তজুমদ্দিন (ভোলা) থেকে : তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সারি সারি খেজুর গাছ বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তির পথে। একসময় রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে কিংবা কৃষি জমির পাশে চোখে পড়ত এ গাছ। এখন আর দেখা যাচ্ছে না। কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত প্রায় শত শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পরিবেশবান্ধব খেজুর গাছ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা গাছ ছাঁটাই করে রস সংগ্রহ করে তাদের স্থানীয় ভাষায় বলা গাছি। একসময় খেজুরের রসের জন্য গাছিদের ২-৩ দিন আগে থেকেই বলে রাখতে হতো। যাদের খেজুর গাছ ছিল না তারাও খেজুরের রস থেকে বঞ্চিত হতো না। প্রতি বছর মৌসুম এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে গাছিরা। সাধারণত গাছিরা গাছ ছাঁটাইয়ের পর রস সংগ্রহ করে সেই রস দিয়ে গুড় তৈরি করে। পুরো মৌসুম ধরে এই গুড় বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার চালাত তারা।
এসব গাছির নিজস্ব খেজুর গাছ না থাকলেও গাছ মালিকদের সংগৃহীত রসের একটি অংশ দেয়া হতো। বর্তমানে এই উপজেলার গাছিরা রয়েছে দুর্দিনে। ইতোমধ্যে অনেকেই এই পেশা পরিবর্তনও করেছেন।
শীতকালীন মৌসুম এলেই খেজুর রস দিয়ে নাশতা আর ভাপা পিঠার ধুম পড়ে যেত এ অঞ্চলে। নতুন অতিথি আসা মানেই খেজুর রস আর ভাপা পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন। যাদের গাছ ছিল না তারাও গাছিদের গাছ থেকে কাঁচা রস ক্রয় করত।
চাঁচড়া ইউনিয়নের মো. শাহে আলম বলেন, একসময় আমাদের শতাধিক খেজুর গাছ ছিল। বিভিন্ন সময়ে গাছগুলো মরে গিয়ে এখন ৭-৮টি গাছ থাকায় এ বছর গাছ ছাঁটাই করিনি। গাছি মো. ফিরোজ বলেন, ৩-৪ বছর পূর্বেও নিজের এবং অন্যের মিলিয়ে ৮০ থেকে ১০০টি গাছ পর্যন্ত ছাঁটাই করেছি। দিন দিন গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবার ৩৫টি গাছ ছাঁটাই করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, খেজুর গাছ নতুন করে রোপণ করা হয় না এবং এর সঠিক পরিচর্যা না করার কারণে ধীরে ধীরে এই গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যদিও খেজুর গাছ লাভজন একটি গাছ। কিন্তু এই গাছ থেকে রস বের করে তা গুড়ে পরিণত করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এখন গাছিরা আর আগের মতো পরিশ্রম করতে চায় না বলেই এই গাছের প্রতি আগ্রহ কমে অন্যান্য ফল গাছের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়ে গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়