কাগজ প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার জৈনসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০টি পরিবারের জমি দখলচেষ্টা অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরাসহ স্থানীয়রা। গত বুধবার দুপুর উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের ভাটিভোগ গ্রামের ঈদগার মাঠের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এই অভিযোগ করা হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু ও তার ভাই লুৎফর রহমানের যোগসাজশে ইউনিয়নটির ভাটিমভোগ গ্রামের বসতবাড়িসহ আরএসের ৪টি দাগে মোট ১২৩.৩৮ শতাংশ জমি ভুয়া সনদ দিয়ে আত্মীয়স্বজনের নামে নামজারি করে দখলের চেষ্টা করছেন। এতে ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসা ১০টি পরিবারে বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিভিন্ন হুমকি ও চাপের মুখে পড়ে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এসব পরিবারের সদস্যরা।
তারা আরো বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ ও এসিল্যান্ডের বরাবর মিস কেস করা হলেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে এসব পরিবারের একমাত্র আয়ের পথ কৃষিজমি ও বসতভিটা রক্ষায় দ্রুত সরকারসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভাটিমভোগ মৌজাস্থ আর.এস. ৩৫৮ খতিয়ানের ৪২৮, ৪৪২, ৪৪৩ ও ৫২৬ দাগের মোট ১২৩.৩৮ শতাংশ জমিতে ১০টি পরিবার ও পৈতৃক সূত্রে মালিকানাধীন পরিবারসহ ওই সম্পত্তিতে বাধাহীনভাবে বসবাস ও ভোগদখল করে আসছি। সম্প্রতি আমরা জানতে পারি, জনৈক দুই ব্যক্তির নামে সম্পত্তিগুলো নামজারি হয়েছে। তারপর ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জৈনসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদুর স্বাক্ষরিত দুটি ভুয়া ওয়ারিশ সনদের মাধ্যমে ওই সম্পত্তিগুলো কথিত জীবন লাল সাহা ও সুনীল ঘোষের নামে নামজারি হয়েছে। কিন্তু জীবন লাল সাহা ও সুনীল ঘোষ নামে ব্যক্তি ভাটিমভোগ গ্রামে অতীতে ছিল না ও বর্তমানেও নেই।
নামজারির নথিতে দেখা যায়, জীবন লাল সাহার (বাবা হিরেন্দ্র লাল সাহা) প্রদত্ত মোবাইল নম্বরটি (০১৭১১৫২৪১৩৩) বর্তমান চেয়ারম্যানের ছোট ভাই লুৎফর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জৈনসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম দুদু বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আর প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। আমি এই জমি দখলের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। আমি যে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিয়েছি সেটি ভালো করে তদন্ত করেই দিয়েছি।