দুর্ঘটনায় আহত বাবা : দুই সপ্তাহ পর সার্জেন্টের মামলা নিল বনানী থানা

আগের সংবাদ

সেট টপ বক্স নিয়ে স্বেচ্ছাচার > দাম ও মান নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন > এত কম সময়ে বাস্তবায়ন কঠিন : কোয়াব

পরের সংবাদ

ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী ভূমি অফিসে দুর্নীতি : ৩০ হাজার টাকার নিচে খারিজ হয় না জমি!

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : সদর উপজেলার কেওয়াটখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সিরাজীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, কেওয়াটখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৩০ হাজার টাকার নিচে জমির খারিজ হয় না। কাগজপত্রে ত্রæটি থাকলে টাকার অংক দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলেও প্রতিকার নেই।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২ মার্চ কেওয়াটখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন শফিকুল ইসলাম সিরাজী। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হয়ে ওঠে। স্থানীয় এক সেবা গ্রহিতা বলেন, দেড় বছর আগে পারিবারিক জমির নামজারির জন্য ভূমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সিরাজীর সঙ্গে ৩৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয় তার। চুক্তি অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা কাজ শুরুর আগেই দেয়া হয়েছে। কাজ শেষে বাকি ১০ হাজার টাকা দিবেন বলে কাজ শুরু করতে বলেন তিনি। একইভাবে বলাশপুর এলাকার এক সেবা প্রার্থী তার দুটি নামজারির জন্য ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
সরজমিনে গেলে অফিসের বাইরে কথা হয় বেশ কয়েকজন সেবা প্রার্থীর সঙ্গে। তারা বলেন, ভূমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সিরাজীর ডিমান্ড খুব বেশি। সিটি করপোরেশন হওয়ার পরে জমির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় ভূমি অফিসে গ্রাহকদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। তারা আরো বলেন, দুর্নীতি প্রমাণ করতে এত অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই। গত তিন মাসের নামজারির তালিকা নিয়ে অনুসন্ধান করলে সব দুর্নীতির প্রমাণ মিলবে। অভিযোগের বিষয়ে কেওয়াটখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সিরাজী বলেন, মাসে শতাধিক নামজারির আবেদন জমা পড়ে এই অফিসে। সরকার নির্ধারিত ফির বাড়তি টাকা আমরা নিই না। কে বা কারা অভিযোগ করেছে তা জানি না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতি আর দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করে বলেন, দ্রত অফিসগুলোকে দালালমুক্ত করতে এসিল্যান্ডদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘুষ গ্রহণের বিরুদ্ধে কোনো ভুক্তভোগী সরাসরি অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবিষ্যতে তিনি নিজে ছদ্মবেশে ভূমি অফিসে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করবেন বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়