বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে বেশ ভালো জায়গাতেই আছেন তাপসী পান্নু। কেরিয়ারের শুরুর দিকে নানারকম চরিত্রে অভিনয় করতে থাকলেও, এখন একেবারেই চরিত্র নির্ভর ছবিতে অভিনয় করতে শুরু করেছেন। যে ছবিতে তার অভিনয় দক্ষতা দেখানোর জায়গা থাকবে, নিজের জন্য তেমন ছবিই বেছে নিচ্ছেন ‘পিঙ্ক’ অভিনেত্রী। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তার ‘রশ্মি রকেট’। এই ছবিতে একজন খেলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয় করে অনুরাগীদের পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন তাপসী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানালেন যে, তিনি দুবার তার কোঁকড়ানো চুল স্ট্রেট করেছিলেন। আর তখন কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। এক সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু জানালেন, পর্দায় যে অভিনেত্রীদের দেখা যায়, তাদের থেকে নিজেকে কিছুটা ভিন্ন লাগতে শুরু করে তাপসীর। স্কুল জীবন থেকেই সংশয় কাজ করছিল অভিনেত্রীর মনে। তাই তিনি ঠিক করেন কেমিক্যাল প্রয়োগের মাধ্যমে চুল স্ট্রেট করবেন। এক ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় তাপসী পান্নু বলেন, আমার দীর্ঘ পটল চেরা চোখ ছিল না। আমার ছোট এলিগ্যান্ট নাকও ছিল না। কিন্তু অনেকেই আমার লম্বা নাকের প্রশংসা করত। আমার সিল্কি চুলও ছিল না। আমরা সকলেই জানি, আমাদের আশপাশে যেসব নায়িকা রয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেরই এ ধরনের সৌন্দর্য রয়েছে। এমনকি আমি লক্ষ করেছিলাম, আমার মতো দেখতে কোনো অভিনেত্রী টেলিভিশনেও অভিনয় করেন না। তাই আমার মধ্যে কিছুটা আক্ষেপও কাজ করত। তাই স্কুলে পড়াকালীন একদিন নিজের চুল স্ট্রেট করার জন্য পার্লারে যাই। যেখানে কেমিক্যাল প্রয়োগের মাধ্যমে চুল স্ট্রেট করা হতো। একবার নয়, এমন সিদ্ধান্ত আমি দুবার নিই।
তাপসী পান্নু আরো বলেন, কোঁকড়ানো চুল স্ট্রেট করার জন্য সেই সময়ে মারাত্মক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হতো। আর সেই কেমিক্যাল চুলে ব্যবহার করার ফলে আমার চুলের অত্যন্ত খারাপ অবস্থা হয়। স্ট্রেট করতে গিয়ে চুলের যা অবস্থা হয়েছিল, তা দেখে আমি অবসাদে ভুগতে শুরু করি। দেখি চুলের ডগা সোজা রয়েছে। কিন্তু মাথার ওপর থেকে কোঁকড়ানো চুল গজাচ্ছে। এরপর আরো ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হয়, যখন মারাত্মক হারে আমার চুল পড়তে শুরু করে।
তাই হ্যাঁ, আমার হয়তো অন্য নায়িকাদের মতো স্ট্রেট চুল, ছোট নাক, সুন্দর ঠোঁট নেই। কিন্তু আমি এতেই খুশি। স্কুল জীবনে এমন ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হওয়ার পর আমি নিজের মনকে বোঝাতে শুরু করি যে, আমি যেমন, তেমনভাবেই নিজেকে ভালোবাসতে হবে। আমি বুঝতে শুরু করি, নিজে যেমন তেমনভাবেই নিজেকে সুন্দর মনে হলে, তবেই তুমি সম্পূর্ণভাবে নিজেকে ভালোবাসতে পারবে। পরবর্তীকালে আমার আর কোঁকড়ানো চুল কিংবা লম্বা নাক নিয়ে মনে কোনো দ্ব›দ্ব দেখা দেয়নি। বলেছেন তাপসী পান্নু।
:: মেলা ডেস্ক