সেলেব্রিটি হওয়ার একাধিক জ্বালা। শুধু এদেশে নয়, হলিউড অভিনেত্রীদেরও মাঝে মধ্যে ব্যক্তিগত ছবি লিকের মতো সমস্যায় জেরবার হতে হয়। তেমনই এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন জেনিফার লরেন্স। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জেনিফার লরেন্স শেয়ার করলেন ২০১৪ সালে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা। তার কোনো সম্মতি ছাড়াই একান্ত ব্যক্তিগত কিছু ছবি ইন্টারনেটে লিক হয়ে যায়। আর তার পরেই রীতিমতো ট্রমায় চলে যান তিনি। নগ্ন শরীরের ছবি লিক হয়ে গিয়েছিল ইন্টারনেটে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যে কেউ আমার অনুমতি ছাড়াই যতক্ষণ ইচ্ছে আমার নগ্ন শরীর দেখতে পারেন। ফ্রান্সের কোনো এক ব্যক্তি আমার অনুমতি ছাড়াই সেই ভিডিও ইন্টারনেটে পাবলিশ করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় যে মানসিক আঘাত পেয়েছিলাম, তার থেকে কখনো বেরোতে পারব না।’
কীভাবে ব্যক্তিগত সেই সব মুহূর্তের ছবি লিক হয়ে গিয়েছিল? ২০১৪ সালে হ্যাক হয়ে যায় জেনিফার লরেন্সের আইক্লাউড। ব্যক্তিগত ভিডিও, তথ্য এবং ছবি লিক হয়ে যায় ইন্টারনেটে। সাক্ষাৎকারে জেনিফার লরেন্স আরো বলেন, ‘যেহেতু আমি পাবলিক ফিগার এবং অভিনেত্রী তাই আমাকে এসব কিছু সহ্য করতে হবে এমনটা হতে পারে না। শরীর যখন আমার, তখন ইচ্ছা-অনিচ্ছাটাও আমারই। আর এই কাজটা আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে হয়েছিল। সেটাই কোনো দিন মেনে নিতে পারব না। বিশ্বাসই হয় না, এমন জঘন্য দুনিয়ায় বাস করি আমরা।’
এই একই হ্যাকিং গ্রুপের শিকার হয়েছেন হলিউডের আরো বেশ কয়েকজন নায়িকা। সেই তালিকায় নাম রয়েছে আরিয়ানা গ্রান্ডে, ভিক্টোরিয়া জাস্টিস, কেট আপটন।
একটা সময়ে ছিল এমএমএস স্ক্যান্ডাল। সেই কেচ্ছায় নাম জড়িয়েছিল কারিনা কাপুর ও তার বয়ফ্রেন্ড শহিদ কাপুরের। তাদের ঘনিষ্ঠ চুম্বনের মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তবে এটা সেই জমানার কথা, যখন ইন্টারনেট সহজলভ্য হয়নি। কিন্তু যেদিন থেকে ইন্টারনেট হাতে হাতে চলে এলো, ব্যক্তিগত সবকিছুই যেন পণ্য হলো নিয়ন আলোয়। ছবির শুটিংয়ের সময় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি কমল হাসানের মেয়ে শ্রæতি হাসানের আপত্তিকর ছবি তুলে ইন্টারনেটে পাবলিক করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই সব ছবি। শুরুতে বড় ধাক্কা খেলেও পরে পুলিশে নালিশ দায়ের করেন কমল হাসান কন্যা। বাহুবলী খ্যাত অনুশকা শেট্টির একটি পর্নোগ্রাফি ভিডিও লিক হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সম্মানহানি হয় নায়িকার। পরে জানা যায়, ভিডিওতে যাকে দেখা গিয়েছে তিনি আদৌ অনুশকা নন। একটি ফেক ভিডিও করে তার মানহানির চেষ্টা করা হয়েছিল। একটি ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাধিকা আপ্তে বলেন, ক্লিন স্যাভেন ছবির শুটিং চলাকালীন তার একটি নগ্ন দৃশ্যের ভিডিও ইন্টারনেটে লিক হয়ে যায়। তার জন্য ব্যাপকভাবে ট্রোলড হন তিনি। ‘সেই সময়ে আমি ভীষণ ডিসটার্বড হয়ে পড়েছিলাম। টানা চার দিন বাড়ির বাইরে বেরোতে পারিনি। মিডিয়া কী বলবে তা নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু আমার ড্রাইভার, ওয়াচম্যান, আমার স্টাইলিস্টের ড্রাইভার সবাই ওই ক্লিপ দেখে আমাকে চিনতে পারছিল। ভীষণ অস্বস্তিতে ছিলাম ওই কটা দিন।’ অশ্লীলতার শিকার হয়েছিলেন শ্রæতির বোন অক্ষরা

হাসানও। ২০১৮ সালে একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি লিক হয়ে যায় অক্ষরার। অন্তর্বাসে অক্ষরার সেলফি তোলার ছবি ভাইরাল হতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন নায়িকা। শিশু শিল্পী হিসেবে বলিউডে কেরিয়ার শুরু হনসিকার। বাথটাবে শুয়ে থাকা তার নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ট্রোলড হন নায়িকা। সেই ঘটনায় বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন। পরে অবশ্য জানা যায় ভিডিওটি ফেক ছিল।
:: মেলা ডেস্ক