মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

জলবায়ু সম্মেলন পরবর্তী মতবিনিময় সভা : কয়লা ও জীবাশ্ম জ¦ালানি সম্পূর্ণ অপসারণ দাবি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্বনেতারা জলবায়ু সমস্যা সমাধানের জন্য জলবায়ু সম্মেলন আহ্বান করেন। কিন্তু তারা সমস্যার সমাধান করেন না। শুধু আশ্বাস দেন। বিশ্বনেতারাই বিশ্বজুড়ে জলবায়ু সংকট তৈরি করেছেন। তাই এর সমাধান আমাদের নিজেদেরই করতে হবে।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬) পরবর্তি নাগরিক নাগরিক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিয়ারডি), কোস্ট ফাউন্ডেশন, সিসিডিবি, সিডিপি, ইপসা, মালেয়া ফাউন্ডেশন, এসডিএস, ক্যানসা-বাংলাদেশসহ কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহম্মেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুল কাদের, বাংলাদেশ পরিবেশ সংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম, ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সিডিপির নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ আমিনুল হকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সংগঠনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।
এ সময় কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পূর্ণ অপসারণের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, আমরা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে গেলেও হতাশ হই। আমরা ভেবেছিলাম, কপ-২৬ সম্মেলনে অনেক চুক্তি হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। যেহেতু এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা, তাই আমাদের বৈশ্বিকভাবেই সমাধান করতে হবে।
সভায় পল্লী কর্ম সহায়কের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, করোনার সময়ে খুব দ্রুত টিকা বের হয়ে গেল। এর কারণ ক্ষমতাবানদেরও করোনা ধরেছিল। ক্ষমতাবানরা যখন সমস্যার সম্মুখীন হন, তখন তারা সমাধানের পথ বের করেন। জলবায়ু সমস্যায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলো ভুগছে। তাই আমাদেরই এর সমাধানে চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অগ্রাধিকারে গলদ আছে। আমরা এজন্য অগ্রগতিতে সমাধান পাচ্ছি না। আমাদের সরকারের যথেষ্ট সদিচ্ছা আছে। কিন্তু যারা বাস্তবায়ন করেন, তাদের অগ্রগতিতে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।
প্রধান আলোচক হিসেবে সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতা ও সমালোচনা থাকলেও কপ-২৬ সম্মেলনে অনেকগুলো ভালো অর্জনও আছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের একমত হওয়ার বিষয়টিকে নতুন পথচলার সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. নুরুল কাদের বলেন, এ বছর সিভিএফ মোটামুটি সক্রিয় ছিল কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত দেশের প্ল্যাটর্ফম হিসেবে সিভিএফকে আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের নেগোশিয়েটরদের মাঝে সবজান্তা সাজার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যায়, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তাদের সেই পাণ্ডিত্বের প্রতিফলন দেখি না। কাউসার রহমান অভিযোগ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় আর্থিক সাহায্য দেয়ার পরিবর্তে সাহায্যের নামে ঋণ দেয়া এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্র তৈরির পায়তারার বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সজাক দৃষ্টি রাখার দাবি জানান।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, কপ-২৬ এ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের চাওয়ার যথাযথ প্রতিফলন হয়নি। উপকূলের জন্য আরো সুনির্দিষ্ট অভিযোজন পরিকল্পনা নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়