ওয়ারী থেকে উদ্ধার : মারা গেল সেই নবজাতকটি

আগের সংবাদ

বিদ্রোহের ভারেই নৌকাডুবি

পরের সংবাদ

মিথ্যা তথ্যে নৌকা পেলেন ল²ীপুরের আ.লীগ নেতা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে ল²ীপুর সদরের উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এমরান হোসেন নান্নু। বর্তমানে তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার মিথ্যা ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ পরিচয়ে এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
জানা গেছে, মিথ্যা তথ্য দেয়া এমরান হোসেন নান্নু গত বৃহস্পতিবার বিকালে দলবল নিয়ে সদর উপজেলা পরিষদে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আগামী ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ল²ীপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল নেতারা সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকা করে কেন্দ্রে জমা দেন। রহস্যজনক কারণে দত্তপাড়া, ভবানীগঞ্জ ও উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের নাম ওই তালিকায় দেয়া হয়নি। তারা আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা কমিটির দায়িত্বশীল নেতা। মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন দত্তপাড়ার আহসানুল কবির রিপন ও ভবানীগঞ্জের সাইফুল হাসান রনি।
মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠানো উত্তর হামছাদীর সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকায় প্রথমে এমরান হোসেনের নামের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ লেখা রয়েছে। পদবির ছকে উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ওই তালিকায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সলিমুল্লাহ পাটওয়ারী ও জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলানের নামও রয়েছে।
প্রার্থী সলিমুল্লাহ পাটওয়ারী বলেন, সদর উপজেলা ও ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা আমাদের হাতে আছে। এমরান হোসেনের প্রয়াত বাবা আবদুর রশিদের নাম কোনো তালিকায় নেই, অতীতেও ছিল না।
এটা পুরোপুরি প্রতারণা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বাবুল মোল্লা এ বিষয়ে বলেন, এমরান হোসেনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা তো দূরের কথা, তিনি সহযোগীও ছিলেন না। তাকে নৌকা পাইয়ে দিতে মিথ্যা তথ্য লিখে প্রতারণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নান্নু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলে আমাদের কাছে প্রমাণ দিতে হবে।
ইউনিয়নের পশ্চিম হাসন্দি গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম সংগঠক রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী বলেন, আমাদের এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি। এমরান হোসেনের বাবা কখনো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। যুদ্ধ-সংশ্লিষ্ট কোনো কাজেও তিনি সহায়তা করেননি। সরাসরি এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত জেলা নেতাদেরও নিয়মানুয়ী বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তবে এমরান হোসেন নান্নু দাবি করেছেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এখন তা নিয়ে অপপ্রচার করছে একটি মহল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়