ওয়ারী থেকে উদ্ধার : মারা গেল সেই নবজাতকটি

আগের সংবাদ

বিদ্রোহের ভারেই নৌকাডুবি

পরের সংবাদ

ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনা : জেলেনস্কির কড়া হুঁশিয়ারি উদ্বেগে বিশ্ব নেতারা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করলে পাল্টা প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইউক্রেন। দেশটির সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কি। সীমান্ত এলাকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বাড়তে থাকা টহলদারি কপালে ভাঁজ ফেলেছে পশ্চিমা দেশগুলোরও। উত্তেজনা এড়াতে রাশিয়া বা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারেন বলে এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়ার যদি সত্যি ইউক্রেনের ওপর হামলার কোনো অভিসন্ধি না থাকে, তা হলে তা নিয়ে যেন প্রকাশ্যে মুখ খোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।
জেলেনস্কির দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে সংঘর্ষ অবধারিত বলেই তার মনে হচ্ছে। তবে রাশিয়ার সামরিক শক্তির রক্তচক্ষুকে যে তারা ভয় করেন না, তা-ও বারবার তুলে ধরেন তিনি।

জেলেনস্কি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, মস্কো যদি সীমান্তের এ পারে সেনা ঢোকায় তা হলে কিয়েভের শক্তিশালী বাহিনী তাদের মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
স¤প্রতি ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান কিরিলো বুদানভ জানান, ইউক্রেন সীমান্তে ইতোমধ্যেই কমপক্ষে ৯২ হাজার রুশ সেনা ঘাঁটি গেড়েছে। জানুয়ারি বা খুব বেশি হলে ফেব্রুয়ারিতেই তারা ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। তিনি আরও দাবি করেন, মাটিতে শুধু নয়, আকাশপথেও হানা দিতে পারে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেন-রাশিয়ার এই টানাপড়েন নিয়ে চিন্তায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোও। ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টোলেনবার্গের সতর্কবাণী, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পেশিশক্তির প্রদর্শন করলে রাশিয়াকে তার দাম দিতে হবে, পরিণতি মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে হবে। আগামী সপ্তাহে লাটভিয়ার রাজধানী রিগায় ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানান স্টোলেনবার্গ।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তো বটেই, রাশিয়ার এই অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউরেশিয়ান অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ক্যারেন ডনফ্রায়েডও। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করুক তা মেনে নেবে না ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে তার মন্তব্য, সব দিকই খোলা রাখা হয়েছে। এখন আমরা যেটা করছি তা হলো সীমান্ত অঞ্চলটির ওপর পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরদারি চালাচ্ছি। পাশাপাশি রাশিয়াকে কীভাবে রোখা যায় তা নিয়ে আমাদের সহযোগীদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। ইউক্রেনের ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা’ রক্ষার পক্ষ নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং পোলান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাটিয়াস মোরাউইকিও। যদিও সামরিক উপদ্রবের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মস্কোর দাবি, ওয়াশিংটন ইচ্ছে করে এ ধরনের উত্তেজনার জল্পনা বাড়াচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়