মাহমুদুর রহমান মান্না : খালেদা জিয়া এখন তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছেন

আগের সংবাদ

ওমিক্রন ঠেকাতে চার সুপারিশ

পরের সংবাদ

দামও মিলছে ভালো : ৫০ বছরে সর্বোচ্চ ধানের ফলন রাণীনগরে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর (নওগাঁ) থেকে : রাণীনগর উপজেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে চলতি আমন ধান কাটা-মাড়াই। এই আবাদে ধানের ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় গৃহস্থদের মতো অধিক লাভবান না হলেও বর্গাচাষিরা রেহায় পাচ্ছেন লোকসান থেকে। কৃষি কর্মকর্তারা দাবি করে বলছেন, গত ৫০ বছরের মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ ফলন ও দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে কৃষকরা এবার লাভের মুখ দেখছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলাজুড়ে প্রায় ১৮ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যেই চিনি আতপ ধান কাটা-মাড়াই শুরু না হলেও মোটা জাতের ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। কৃষকরা বলছেন, ধান রোপণের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের গাছ খুব ভালো হয়েছিল। এ মৌসুমে হাল চাষ থেকে শুরু করে রোপণ, আগাছানাশক, সার, পানি সেচসহ কাটা মাড়াই পর্যন্ত বিঘাপ্রতি প্রায় ১০/১১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্গাচাষিদের মতে, গৃহস্থদের বিঘাপ্রতি ১০/১১ হাজার টাকা খরচ হলেও বর্গাচাষিদের বাৎসরিক জমি ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত ৬/৭ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৭/১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান ১৮-২৪ মণ পর্যন্ত ফলন হচ্ছে। এই জাতের ধান সোমবার উপজেলার ধানের মোকামখ্যাত আবাদপুকুর বাজারে প্রতি মণ সর্বোচ্চ ১০২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিআর-৪৯ জাতের ধান বিঘাপ্রতি ১৬-২০ মণ পর্যন্ত ফলন হচ্ছে। রকমভেদে সর্বোচ্চ ১১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ফলে গৃহস্থরা অধিক পরিমাণে লাভবান হলেও বর্গাচাষিরাও তেমন লাভ করতে না পারলেও লোকসান থেকে রেহায় পাচ্ছেন।
উপজেলার ভেটি গ্রামের কৃষক দুলাল হোসেন, নারায়ণ পাড়ার বছির আলী মিঠু, জলকৈ গ্রামের পলান চন্দ্রসহ অনেক কৃষকরা জানান, দীর্ঘ বছর পর এবার যেমন ধানের ফলন বেশি হচ্ছে, তেমনি কাটা-মাড়াইয়ের শুরুতেই আশানুরূপ ধানের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে ধানের ভালো ফলন হলেও দাম পাওয়া যায়নি আবার দাম ভালো থাকলেও ফলন পাওয়া যায়নি। ফলে আমন আবাদ করে বিশেষ করে বর্গাচাষিদের বিঘা প্রতি ৩/৪ হাজার টাকা করে লোকসান হয়েছে। কিন্তু এবার ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় বর্গাচাষিরাও লাভবান হচ্ছেন।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের তুলনায় এবার ধানের রোগ-বালাই কম থাকায় এবং আবহাওয়াজনিত কারণে এবং নতুন নতুন ধানের জাতের ফলে ফলন খুব বেশি হয়েছে। তিনি দাবি করে বলেন, গত ৫০ বছরের মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ ফলন হয়েছে। পাশাপাশি কাটা-মাড়াইয়ের শুরুতেই বাজারে আশানুরূপ দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়