পুলিশের স্থাপনায় হামলার ঘটনায় মামলা : আসামি অজ্ঞাত কয়েক হাজার

আগের সংবাদ

‘ওমিক্রন’ নিয়ে সতর্ক সরকার

পরের সংবাদ

এবারো কি মেসির হাতে ব্যালন ডি’অর উঠবে!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আগামী সোমবারই জানা যাবে কার হাতে উঠছে এবারের ব্যালন ডি’অর। তবে ফুটবলারদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পুরস্কারটির দৌড়ে এগিয়ে আছেন লিওনেল মেসি। ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনাকে কোনো বড় ট্রফি হিসেবে এনে দিয়েছেন কোপা আমেরিকা। পিছিয়ে নেই পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানদোস্কিও। এই গোল মেশিন চলতি মৌসুমে গোল করায় ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। কোপা আমেরিকা জয়ী মেসি যদি ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে এগিয়ে থাকেন তাহলে ইউরো, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ জয়ী কেন পিছিয়ে থাকবেন। উয়েফার বর্ষসেরা ইতালির জর্জিনহোরও জোর সম্ভাবনা রয়েছে ব্যালন ডি’অর জেতার।
আগামী ২৯ নভেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফুটবলারদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পুরস্কারের ইভেন্ট ব্যালন ডি’অর ঘোষণা। ফ্রেঞ্চ ম্যাগাজিন কর্তৃক প্রতি বছর বর্ষসেরা ফুটবলারদের দিয়ে থাকেন এই পুরস্কার।
১৯৫৬ থেকে চলে আসা এই পুরস্কারটি সর্বোচ্চ ছয়বার জিতেছে আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসি। তারপর সর্বোচ্চ পাঁচ বার জিতেছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
তিনি অবশ্য সর্বোচ্চ ১৭ বার নমিনেশন পেয়েছিলেন এই পুরস্কারটির জন্য। একুশ শতকের এই দুই ফুটবল তারকার পর সর্বোচ্চ তিন বার করে জিতেছেন তিনজন। দুইবার করে জিতেছেন পাঁচ বার। একবার করে জিতেছেন ১৫ জন ফুটবলার।
করোনা মহামারিতে বাতিল হওয়ার আগে শেষ বার স্বর্ণের বলটি মেসির হাতে উঠেছিল। এবারো তিনি সে দৌড়ে আছেন ভালোভাবেই। তার নিকট প্রতিদ্ব›দ্বী রোনালদোও আছেন ব্যালন ডি’অর পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায়। তবে তার সম্ভাবনা কম। ব্যালন ডি’অরের প্রতিযোগিতায় চলতি বছর তালিকায় আছেন সময়ের সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে, মোহাম্মদ সালাহ ও নেইমার জুনিয়র। তবে তাদের ছাড়িয়ে এই দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন মেসি, লেভানদোস্কি ও জর্জিনহো।
মেসি কেন ব্যালন ডি’অর পাবেন? ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর হাতে সপ্তমবার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পুরস্কারটি উঠলে নিশ্চয় ফুটবল বিশ্ব অবাক হবে না।
চলতি আসরে ফ্রেঞ্চ ম্যাগাজিনের হিসেবে বর্ষসেরা পুরস্কারটি মেসি জেতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে আর্জেন্টিনাকে ২৮ বছর পর কোনো বড় শিরোপা জেতানো। তাছাড়া কোপা আমেরিকা ওই অঞ্চলের সর্বোচ্চ শিরোপ, যা তাদের কাছে বিশ্বকাপের তুলনায় কম গুরুত্বের নয়।
একই সঙ্গে মেসি বার্সেলোনার হয়ে কোপা দেল রের শিরোপাও জিতেছেন। ২০২০-২১ মৌসুমে এই ফুটবল জাদুকর ৪১ গোলের পাশাপাশি করেছেন ১৪টি অ্যাসিস্টও। যদিও পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদোভস্কির তুলনায় মেসির গোল সংখ্যা কম, তবুও তার ব্যালন ডি’অর পাওয়া, না পাওয়া নির্ভর করছে ভোটারদের ভোটের ওপর। তাছাড়া মেসি বেশ কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত এই পুরস্কার জেতার দৌড়ে আছেন। এর আগে স্পেন থেকে মেসি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নিতে ফ্রান্সে পা রাখতেন। এবার তিনি প্যারিসেই অবস্থান করছেন। তবে তার পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত, অনিশ্চিত হবে ২৯ নভেম্বর। সেদিনই জানা যাবে তিনি সাতবার এই পুরস্কার গ্রহণ করে নিজেকে অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছেন, নাকি অন্য কেউ পাচ্ছেন এই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পুরস্কারটি। লিওনেল মেসি ২০১৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবার জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। এরপর ২০১৫ সালে এবং ২০১৯ সালে শেষবার নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্যালন ডি’অরের জন্য।
ব্যালন ডি’অর কেন লেভানদোভস্কির? রবার্ট লেভানদোস্কি মাঠে নামেন যেন গোল করার জন্যই। গত মৌসুমে পোল্যান্ডের হয়ে তিনি কিছু জিততে না পারলে, তার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জিতেছেন বেশ কিছু শিরোপা।
বুন্দেসলিগা, ক্লাব বিশ্বকাপ, ডিএফএল সুপার কাপ জার্মান জায়ান্টরা জিতেছে তার অবদানেই। এই গোল মেশিন গত মৌসুমে গোল করেছেন ৬৪টি। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে এক মৌসুমে ৪১ গোল করে ভেঙেছেন গার্ড মুলারের রেকর্ড। গত বছর করোনা মহামারির কারণে যদি ব্যালন ডি’অর বাতিল করা না হতো তাহলে নিঃসন্দেহে তিনি প্রথমবার এই পুরস্কারের স্বাদ গ্রহণ করতেন। এর আগে তিনি ২০২০ সালে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছিলেন। পারফরম্যান্সে তিনি সবার থেকে এগিয়ে। তবে ব্যালন ডি’অর পেতে ভোটারদেরও যে মন জয় করা লাগবে।
জর্জিনহো যেভাবে ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে : মেসি, লেভানদোস্কির পরে ব্যালন ডি’অর জেতার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার জর্জিনহোর। ইতালির হয়ে চলতি বছর ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জর্জিনহো। চেলসির হয়ে জিতেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও উয়েফা সুপার কাপ। এতসব অর্জনে তিনি চলতি বছর জিতে নিয়েছেন উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কার। ডিফেন্ডার হয়েও তিনি ৮ গোল করার পাশাপাশি ৩ অ্যাসিস্ট করে ইতালি ও চেলসিকে শিরোপা জিততে সহযোগিতা করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়