কাগজ ডেস্ক : বুলগেরিয়ায় পর্যটকদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ার পর আগুন ধরে গিয়ে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় গত সোমবার রাত ২টার দিকে বুলগেরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে স্টারমা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উত্তর মেসিডোনিয়ার একটি ট্রাভেল এজেন্সির ওই বাসে ৫২ জন আরোহী ছিলেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ছুটি কাটিয়ে বুলগেরিয়া হয়ে তারা উত্তর মেসিডোনিয়ায় ফিরছিলেন বলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুইয়ার ওসমানি জানান। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১২ শিশু রয়েছে। সাতজনকে দগ্ধ অবস্থায় সোফিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান। বাসটি কীভাবে দুর্ঘটনায় পড়ল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আগুন লাগার আগে বা পরে বাসটি মহাসড়কের পাশের ব্যারিয়ারে ধাক্কা খায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বুলগেরিয়ার কর্মকর্তারা।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া বাসটি দাঁড়িয়ে আছে সড়কের একেবারে মাঝখানে। বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বয়কো রাশকভ বলেন, বাসের ভেতরে যাত্রীদের লাশগুলো পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভয়ঙ্কর, খুবই ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আমি জীবনে এ রকম ভয়াবহ দৃশ্য দেখিনি।
দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী স্টেফান ইয়ানেভ এ ঘটনাকে বর্ণনা করেন ‘ভয়ঙ্কর এক বিপর্যয়’ হিসেবে। বুলগেরিয়ার তদন্ত সংস্থার প্রধান বরিসলাভ সারাফভ জানান, চালকের ভুলে অথবা যান্ত্রিক জটিলতার কারণে বাসটির এ পরিণতি হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।