কাগজ ডেস্ক : টানা এক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ এবং কর্ণাটকে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে সিএনএন জানায়, আকস্মিক এ বন্যায় কেবল অন্ধ্র প্রদেশেই ৩২ জনের মৃত্যু ঘটে।
গত সপ্তাহের শেষ থেকে টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের সড়ক ও মহাসড়কগুলো ডুবে যাওয়ায় কয়েকটি গ্রাম সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ওই সব গ্রামে জরুরি খাদ্য এবং পানি সরবরাহ পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের ১৬টি দল বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। প্রায় ৫৮ হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে ২৯৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে নৌ এবং বিমানবাহিনী নি¤œাঞ্চল থেকে লোকজনকে উদ্ধার করছে। এছাড়া বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া গ্রামগুলোতে খাবার এবং পানি পৌঁছে দিচ্ছে। পাশের কর্ণাটক রাজ্যে বন্যায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা তুষার গিরিনাথ সিএনএনকে জানান। বৃষ্টিতে এ রাজ্যে দেড়শ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, লোকজন মূলত তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছি। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্ত এবং বঙ্গোপসাগরে নি¤œচাপের কারণে এমন ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিল নাড়– উপকূলেও এর প্রভাব পড়তে পারে। এ অঞ্চলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত কমে আসার পূর্বাভাস থাকলেও সপ্তাহের শেষ দিকে আবারো তা বেড়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এ মাসের শুরুতে তামিল নাড়–তে ভারি বৃষ্টিতে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু ঘটে। রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের অনেক এলাকা সে সময় জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে।