টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

যে কারণে দৌড়াতে পারবেন না শোয়েব

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম পেসার ছিলেন শোয়েব আখতার। গতির জন্য বেশ খ্যাতি ছিল এই ক্রিকেটারের। শুধু বলের গতি নয়, বাউন্ডারি থেকে দ্রুত দৌড়ে গিয়ে বল ধরতেন তিনি। বল হাতে রীতিমতো উড়তেন এই পেসার। গতির জন্য ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ নামেই পরিচিত তিনি। তবে হাঁটুর সমস্যার কারণে আর দৌড়াতে পারবেন না পাকিস্তানের এই স্পিড স্টার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৌড়ানোর সময়ের একটি ছবি পোস্ট করে হাঁটু প্রতিস্থাপনের খবর জানিয়েছেন শোয়েব। তিনি বলেন, ‘আমার দৌড়ানোর দিনগুলো শেষ হয়ে গেল। পুরো হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য আমি শিগগিরই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যাব।’
কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি শোয়েবকে উদ্দেশ করে লিখেছিলেন, ‘আশাকরি তোমার হাঁটু সব সময় ভালো থাকবে।’
শোয়েব আখতার একজন উঁচুমানের ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত। ১৯৯৭ সালে ঘরের মাঠ রাওয়ালপিন্ডিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ১৯৯৮ এর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দলেও তার জায়গা হয় তার। আস্তে আস্তে পাকিস্তানের শক্তিশালী ফাস্ট বোলিং লাইনআপে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেন শোয়েব। ১৯৯৮ সালে পেশোয়ারে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার দলের বিপক্ষেও খেলেন তিনি। শোয়েবের ক্যারিয়ারে প্রথম ৮ টেস্টে নামের পাশে উইকেট সংখ্যা ছিল মাত্র ১৮টি। পরবর্তীতে তিনি তার পারফরম্যান্সের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন শারজাহ এবং ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও। এ সময়ই তিনি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলোচিত পারফরম্যান্সটি করেন ১৯৯৯ সালের ভারত সফরে ভারতের বিপক্ষে। যেখানে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের এক ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি ৮ উইকেট লাভ করেন।
যার মধ্যে পর পর দুই বলে দুই ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় এবং শচিন টেন্ডুলকারকে আউট করেন তিনি।
২০০২ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান দলে ডাক পান এবং সাফল্য লাভ করেন। এ সময় শ্রীলঙ্কায় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে শোয়েব তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন। ৮ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। কিন্তু ২০০৩ বিশ্বকাপে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে অন্যদের সঙ্গে তিনিও দল থেকে বাদ পড়েন। সেই বিশ্বকাপে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বকালের সর্বোচ্চ গতিতে বল করার বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। এছাড়া তিনি ২০০৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করার রেকর্ড আছে তার।
ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির বলটি এসেছিল তারই হাত থেকে। ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিলোমিটার গতিতে বল করে ইতিহাস গড়েন তিনি। এটি ছিল ক্রিকেট ইতিহাসে সব থেকে দ্রুততম বল। এখন পর্যন্ত এই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। পাকিস্তানের হয়ে ৪৬টি টেস্ট, ১৬৩টি ওয়ানডে ও ১৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শোয়েব। দলের হয়ে টেস্টে ১৭৮টি, ওয়ানডেতে ২৪৭টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়