যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

মুশফিকের কাছে ব্যাখ্যা চায় বিসিবি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর অনেক পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ দলে। পাকিস্তান সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে দলে রাখা হয়নি অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিমকে। দল ঘোষণার দিন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, ‘বিশ্রাম’ দেয়া হয়েছে মুশফিককে। কিন্তু মুশফিক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান বিশ্রাম নয়, টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাকে। এ মন্তব্যের কারণে মুশফিককে পড়তে হয়েছে বিসিবির জেরার মুখে। এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে মুশফিকের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠায় বিসিবি।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের জন্য গত মঙ্গলবার ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করে বিসিবি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুধু মুশফিকই নন দলে রাখা হয়নি সাকিব-লিটনসহ মোট ছয়জন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে। মুশফিকের দলে না থাকার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ‘আমাদের পরপর ৪টি টেস্ট আছে। পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু। পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ শেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আছে। মুশফিক বাংলাদেশ দলের একজন অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। তাই আমরা চাচ্ছি টেস্ট সিরিজে মুশফিক যেন তার সেরাটা দিতে পারে। এ জন্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওকে বিশ্রাম দিয়েছি।’
এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গত বুধবার পাকিস্তান সিরিজ থেকে বিশ্রাম নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মুশফিক বলেন, ‘নাহ, এখনো আমি ওই পর্যায়ে যাইনি যে আমাকে বিশ্রাম নেয়ার জন্য বলতে হবে। আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, এই সিরিজে আমি খেলতে পারব কিনা। আমি বলেছি, অবশ্যই।’ এখন দলে নেয়া বা না নেয়া তো আর আমার হাতে নেই।
নির্বাচক দল হয়তো মনে করেছে, টি-টোয়েন্টি দলে আমাকে ও রকম প্রয়োজন নেই।’
মুশফিক আরো জানান- বাদ দেয়ার প্রক্রিয়াটি অন্য রকমও হতে পারত। দলের আগে, দেশের আগে তো কেউ না। সেখানে আমি তো নগণ্যতম একজন সদস্য। খেলায় পারফরম্যান্সে উঠানামা থাকবে এবং একজন ক্রিকেটারকে অবশ্যই পারফরম্যান্স ও ফিটনেস দিয়ে বিচার করতে। সেটা পরিষ্কার করে বললেই হতো, ‘আমরা অন্যরকম চিন্তা করছি, এই সিরিজে না, সামনের সিরিজে তাকে সুযোগ দেয়া হবে।’
‘এই ব্যাপারগুলো তারা আমাকে পরিষ্কার করে বললে আমার কাছেও ভালো লাগা কাজ করত, তারা আমাকে এতটুকু হলেও সম্মান করেছে। একটু খোলামেলা কথা বললে ভালো হয়। তারা যদি আমাকে বলতেন যে ‘আমরা এ রকম চিন্তা করছি’, তাহলে আরেকটু প্রস্তুতি নিতে পারতাম সামনের টেস্টের জন্য। কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে অ্যাভেইল্যাবল কিনা, এরপর হুট করে বিশ্রামের কথা। তখনও যদি তারা বলতেন যে আমাকে বাইরে রাখার চিন্তা করছে, তাহলে অন্যভাবে পরিকল্পনা করতে পারতাম। এসব অবশ্য নতুন কিছু না।
বিসিবি মনে করে এসব মন্তব্য করে আচরণবিধি ভেঙেছেন মুশফিক। তাই ইতোমধ্য তাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাবে তাকে বলতে হবে, কেন ও কী কারণে সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেছেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়