যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

বন্যহাতি রক্ষায় শপথ নিলেন এলাকাবাসী

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেছেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা, ধরা এবং শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বন্যহাতিদের আঘাত করে নিধন করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব ফেলবে। মানুষ-হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সবার শপথ নেয়ার সময় এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন রামুর জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জের উদ্যোগে ‘মানুষ-হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ’ শীর্ষক জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এ সময় মানুষ-হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সহযোগিতার শপথ নেন উপস্থিত এলাকাবাসী।
ডিএফও বলেন, সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে মানুষ-হাতি সংঘাত নিরসন করতে হবে। বন্যপ্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে আসার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বন সম্পদ রক্ষার্থেও। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে এলে বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কোনোভাবেই যেন হাতিকে আক্রমণ করা না হয়। সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়ে ডিএফও বলেন, বন্যহাতি, বন্যপ্রাণী, বনজদ্রব্য, বনভূমি রক্ষার্থে বন বিভাগ সজাগ আছে। বনজসম্পদ, বন্যপ্রাণী রক্ষা এবং বনভূমি জবরদখলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মানুষ ও হাতির সংঘাত নিরসন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সভায় সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ড. প্রান্তোষ চন্দ্র্র রায় বলেন, বন বিভাগ বন্যহাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বন্যহাতি কর্তৃক কারো প্রাণহানি ঘটলে কিংবা কোনো ব্যক্তির ফসল নষ্ট করলে ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীকে সচেতন এবং ধৈর্য ও সহনশীল হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি বনভূমি জবরদখলমুক্ত, বন্যপ্রাণী, ও বন্যহাতি সংরক্ষণ এবং বনজসম্পদ রক্ষায় সবার সার্বিক সহযোগিতা দরকার। এতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা সহজ হবে।
সভায় জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জের ব্যাংডোবা বিটের দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তি ও বনবিভাগের ফরেস্টারসহ গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়