জাবির ভর্তি পরীক্ষা : প্রক্সি দিতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী কারাগারে

আগের সংবাদ

এশিয়ান আর্চারিতে পদক খরা ঘোচাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

সুপারির ভালো দামে চাষিদের মুখে হাসি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাসান গোর্কি, রংপুর থেকে : অর্থকরী ফসল সুপারির এবার বাম্পার ফলন হয়েছে রংপুর জেলায়। ভালো ভালো দাম থাকায় সুপারি বাগান মালিকদের তাই মুখে হাসি ফুটেছে। রংপুরের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি উৎপাদনে বেশ উপযোগী। রংপুর সদরসহ মিঠাপুকুর, গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, পীরগাছা, কাউনিয়া ও পীরগঞ্জ উপজেলার এমন কোনো বাড়ি নেই যে বাড়িতে সুপারির গাছ নেই।
এছাড়া কোনো কোনো উপজেলায় বিশাল বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে সুপারি বাগান। অর্থকরী এ ফসলকে ঘিরে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে পুরো জেলায়। উৎপাদিত সুপারির বাজার দর ভালো থাকায় সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট, পাঁচগাছি, বড়দরগাহ, মাদারগঞ্জ, মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ী, বৈরাতী, গোপালপুর, মীর্জাপুর, তেঁতুলিয়া, আমাদপুরসহ অন্যান্য এলাকায় সুপারি চাষ হয়ে থাকে। এসব উপজেলায় উৎপাদিত সুপারি জেলা ও উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সরজমিন কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বাগানে উৎপাদিত সুপারি বাজারে ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এবারে সুপারির দামও অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। যার ফলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা।
সুপারি চাষি পীরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর গ্রামের ইউনুস আলী জানান, বাড়ির পাশে ছায়াযুক্ত জায়গাজমি এমনিতেই পড়ে থাকে। সেখানে আমি সারিবদ্ধভাবে সুপারির চারা রোপণ করে বাগান বানিয়েছি। প্রতিবছরের ওই বাগান থেকে ভালো টাকা ঘরে আসে। একবার সুপারির চাষ করলে ১০ থেকে ১৫ বছর ফল পাওয়া যায়। লাভজনক সুপারির চাষে কোনো খরচ নেই।
কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর প্রতি বিশ সুপারি ২শ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। দেশে সুপারি প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থাকলে বিদেশেও রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হতো বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছাদেকুজ্জামান সরকার জানান, মাঠ পর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী ৪০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সুপারি বাগান মালিকদের কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়