জাবির ভর্তি পরীক্ষা : প্রক্সি দিতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী কারাগারে

আগের সংবাদ

এশিয়ান আর্চারিতে পদক খরা ঘোচাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিক্রি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন গৃহহারা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গৃহহীনদের বাড়ি উপহার দিচ্ছেন। সেই উপহারের বাড়ি ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. কামাল উদ্দিন মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওয়ার্ড মেম্বার তালিকায় থাকা গৃহহীন মোসা. মোমেনা খাতুনের বাড়ি বিক্রি করছেন অন্যের কাছে।
জানা যায়, ভোলাহাট উপজেলার হলিদাগাছী হতে গোহালবাড়ীহাট সরকারি রাস্তার পূর্ব পাশে বসবাস করে আসছিলেন ভূমিহীন গৃহহারা অর্ধশত পরিবার। উচ্ছেদ অভিযানে তাদের বাড়ি উচ্ছেদ করা হলে তারা আশ্রয় নেন অন্যের বাড়ি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসিত করার জন্য ভোলাহাটে ৪১১টি প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহীনদের জন্য গৃহ দেয়ার ঘোষণা আসে। তালিকা করা হয় উচ্ছেদ হওয়া এসব গৃহহীন পরিবারের নামে। সরকারি নিয়মানুযায়ী স্থানীয় গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিন আবেদন ফরম পূরণ, অঙ্গীকার নামা ছবিসহ যাবতীয় কাজ করেন। উপকারভোগীদের চূড়ান্ত তালিকা হয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে জমাও হয়। চূড়ান্ত তালিকার ক্রমিক নং ১৪৪।
নাম মোসা. মোমেনা খাতুন। স্বামী শাহজামাল। গৃহহীন সরকারি রাস্তার পাশে বসবাস করা মোমেনা খাতুনের নামে প্রধানমন্ত্রী তার উপহার বরাদ্দ চূড়ান্ত করেছেন। কিন্তু মেম্বার কামাল উদ্দিনের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় বাড়ি বরাদ্দ পাওয়া মোমেনার জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মোসা. মমতাজ বেগমকে (মোমেনা) তার বাড়িতে তুলে দেন। অন্যদের ভাগ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জুটলেও গৃহহারা মোমেনা খাতুন প্রধানমন্ত্রীর উপহার না পেয়ে আবারো সরকারি রাস্তার পাশে টিনের বেড়া দিয়ে কোনো রকম মাথা গোঁজার ঠাঁই নেন।
সরজমিনে গিয়ে কথা হয় গৃহহীন মোমেনা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি অন্যের বাড়িতে কাজকর্ম করে সংসার চালায়। সরকারি জমিতে কুড়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছিলাম। অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের সময় আমার বাড়ি ভেঙে দেয়। আমি অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে একটি বাড়ি বরাদ্দ দিয়েছেন। বাড়িটি আমাকে না দিয়ে মমতাজ বেগম নামের একজনকে মেম্বার কামাল উদ্দিন টাকার বিনিময়ে দিয়ে ওই বাড়িতে তুলে দিয়েছেন।
মোমেনার সরকারি বাড়ি দখলে থাকা মমতাজ বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ভোটার আইডি কার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিনকে দিয়ে ছিলাম। জাল করে থাকলে তিনি বলতে পারবেন বলে জানান। মেম্বার কামাল উদ্দিন মোমেনা খাতুনের বাড়ি মমতাজ বেগমকে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আর্থিক লেনদেন হয়নি। ভোটার আইডি কার্ড জালিয়াতের ব্যাপারে তিনি মুখ খোলেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়