জাবির ভর্তি পরীক্ষা : প্রক্সি দিতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী কারাগারে

আগের সংবাদ

এশিয়ান আর্চারিতে পদক খরা ঘোচাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

জীবননগর পৌরসভা:সদিচ্ছার অভাবে অনিশ্চিত সুপেয় পানি সরবরাহ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি : জীবননগর পৌর এলাকার নাগরিকদের সুপেয় পানি সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নির্মিত পানি শোধনাগার প্ল্যান্টটি নানা অজুহাতে অকার্যকর হয়ে রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব ও পরিকল্পনার অভাবে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
জীবননগর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, থানা সদর ও গ্রোথ সেন্টারে অবস্থিত পৌরসভায় পাইপলাইনে পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্পের (টিএসজিসিপি) কাজ শুরু করা হয়। ৩ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাজ শেষ হয়েছে। ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে পৌর কর্তৃপক্ষকে নির্মিত প্ল্যান্টটি হস্তান্তরও করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতসহ পরীক্ষামূলক ব্যবহার নিশ্চিতের পর ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত হস্তান্তর করা হয়েছে।
জীবননগর পৌরসভার সচিব জায়েদ হোসেন জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হস্তান্তর সময় প্রাথমিকভাবে সর্বনিম্ন ৩০০ বাড়িতে পানির সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তাদের হিসাবে ৩০০ লাইনে পানি সরবরাহকালে যে বিদ্যুৎ বিল ও প্ল্যান্টটি সচল রাখতে যে পরিমাণ ব্যয় হবে তাতে পৌরসভাকে বাড়তি টাকা গুনতে হবে। যেহেতু পৌরসভার রাজস্ব আয় কম। তার কারণে নতুন গ্রাহক সৃষ্টির মাধ্যমে প্ল্যান্ট চালুর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গত মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে কমপক্ষে আরো ১ হাজার নতুন সংযোগ দিয়ে পানির প্ল্যান্ট চালুর। সেই ক্ষেত্রে নতুন পানির লাইন আপগ্রেড কাজ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করলে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন ইতোমধ্যে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন লাইনের কাজে কোনো বরাদ্দ দেয়া সম্ভব না। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করলে রাজস্ব খাত থেকে নতুন বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।
জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম জানান, পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট চালু করতে হলে কমপক্ষে ২ হাজার গ্রাহক সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে ৩০০ গ্রাহক দিয়ে চালালে বিদ্যুৎ বিল ও বাড়তি জনবল নিয়োগে তাদের টাকা সংকুলান সম্ভব নয়। এছাড়া নতুন পানির লাইন আপগ্রেড কাজের অর্থ পৌরসভার পক্ষে জোগান দেয়া অসম্ভব। আমরা প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। সমস্যা সমাধান করে দ্রুত সময়ে পানি সরবরাহ নিশ্চিতের ব্যবস্থা নেব।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক (ঢাকা সার্কেল) ও প্রকল্প পরিচালক শামসুল হক ভূঁইয়া জানান, সরকার নাগরিক সেবায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিতে প্রকল্পটি গ্রহণ করেন। কিছু কাজ সরকার করে দেন মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য। ৩০০ মানুষের জন্য সরকার বিনামূল্যে হাউস কানেকশন করে দিয়েছে। বাকি কাজ করতে নাগরিক সচেতনতার মাধ্যমে পৌরসভা করে থাকে। আমরা তাদের (পৌর কর্তৃপক্ষ) বলেছিলাম বাকি কাজ নাগরিকদের মোটিভেট করে করতে হবে। কারণ সরকারের পক্ষে বাড়ি বাড়ি পানির লাইন সরবরাহ করা অসম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়