‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

আগের সংবাদ

চমক থাকছে টাইগার স্কোয়াডে ; মিরপুরে পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের অনুশীলন

পরের সংবাদ

সংসদ অধিবেশন : ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সরব জাপা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ করেছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। গতকাল রবিবার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে পার্টির দুই এমপি ডিজেলের মূল্য বাড়ানোর সমালোচনা করে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কোভিড মোকাবিলা করে মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় হঠাৎ করে ডিজেলের দাম বাড়ানো হলো। বলা নেই কওয়া নেই কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে একসঙ্গে এত পরিমাণ দাম বাড়ানো হয়নি বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, শুক্র ও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা হয়। আর কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ডিজেলের দাম বাড়ানো হলো বৃহস্পতিবার। তারপর পরিবহনগুলো ধর্মঘটে চলে গেল। এতে করে পরীক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সাধারণ জনগণের ভোগান্তির শেষ ছিল না। ডিজেলের দাম বাড়ার পর বাস ভাড়া ২৭ শতাংশ, নৌযান ভাড়া ৩৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যেটা তেলের মূল্য বাড়ার তুলনায় অনেক বেশি। জানি না, এখানে কেন সমন্বয় নেই।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ৭৫ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। বর্তমান সরকার যেহেতু নির্বাচিত সরকার। জনগণের কথা চিন্তা করলে কোভিডের অবস্থায় হঠাৎ করে এই মূল্য বৃদ্ধি না করে কি বিকল্প ব্যবস্থা করা যেত না? এমনিতেই বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে তেলের কারণে অন্যান্য পণ্যের দাম আরো বেড়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চুন্নু বলেন, তেলের দাম বাড়ার জন্য দেশের মানুষ যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এজন্য হয় আপনি তেলের দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন, না-হয় বিকল্প কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মানুষকে বিপজ্জনক অবস্থা থেকে মুক্তি দেন। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমতে শুরু করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ডিজেলের মূল্য বাড়ানোয় সাধারণ মানুষকে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যও বেড়ে গেছে। প্রতিবেশী দেশ স্পর্শকাতর এ জ্বালানির মূল্য না বাড়িয়ে ঠিক রেখেছে। আমাদের সরকার ইচ্ছা করলে এটা করতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে যায়, তখন কিন্তু আমাদের এখানে কমানো হয় না। অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হলে সেটা কত শতাংশ হতে পারে। আমাদের চিন্তা করা উচিত। আমরা কত পরিমাণ বাড়াতে পারি। বাড়ার পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ কেবিনেটের নতুন করে চিন্তা করা উচিত। কারণ জনস্বার্থ অগ্রাধিকার। জনস্বার্থে এটা পুনর্বিবেচনা করুন, তা না হলে মূল্য কমানো বা ভর্তুকির ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়