দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

খুলনায় কর্মশালা : কৃষির কাক্সিক্ষত উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা থেকে : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা গতকাল খুলনার গল্লামারীতে মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার কারণে আবাদি জমিতে সীমিত আকারে ফসল উৎপাদিত হয়। গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর জেলার পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের কারণে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি, জলোচ্ছ¡াস এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়। উপরন্তু, এই অঞ্চলগুলো শুষ্ক মৌসুমে মাটির পানির ধারণক্ষমতা হ্রাস ও লবণাক্ততা বৃদ্ধিজনিত কারণে উৎপাদন দুরূহ হয়ে পড়ে।
উপকূলীয় অঞ্চলের জমি অধিকাংশই একক ফসলি (পতিত-রোপা আমন) এবং বর্ষা মৌসুমে তখন লবণাক্ততা হ্রাস পায় তখন ফসল চাষ করা হয়। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এসব জেলায় কৃষির আধুনিক সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যবহারের পরিমাণ কম। ফলে কৃষির কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে না। খাদ্য ঘাটতি মেটানোর জন্য কৃষক ধানভিত্তিক দলের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়ায় ভূমি ক্ষয় ত্বরান্বিত হচ্ছে, পানি সম্পদের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে, মাটির উৎপাদন ক্ষমতা ও উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে এবং এর ফলে পুষ্টি ও খাদ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই সমস্যা নিরসনে ভূপৃষ্ঠের পানি সেচের মাধ্যমে উদ্যানতাত্ত্বিক উৎপাদন উৎসাহিত করা এবং মাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। এলক্ষ্যে এ অঞ্চলে জমি চাষের আওতায় আনা, পানি সম্পদের কার্যকরী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে বসতবাড়িতে সবজি এবং উদ্যানতাত্ত্বিক কাউকে চাষ সম্প্রসারণ এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
জমি পতিত রেখে ফসলের নিবিড়তা বাড়ানো সম্ভব না। উপজেলার ব্লকপর্যায় থেকে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করে চাষাবাদের কৌশল ঠিক করতে হবে। আমাদের খোর পোষের কৃষি থেকে বেরিয়ে এসে বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিযে আসতে হবে। মাঠপর্যায়ে যে ফসল আবাদ করে কৃষক লাভবান হবে সে ফসল আবাদের পরিকল্পনা করে কৃষককে লাভবান করতে পারলে আমাদের কৃষি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মো. আসাদুল্লাহ, প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরবিন্দু, ফরিদপুর উপপরিচালক কৃষিবিদ মনোজিদ, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন, পিরোজপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাকায়েত হোসেন, ডুমুরিয়ার আদর্শ কৃষক আবু হানিফ মোড়ল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়