চকবাজারে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন

আগের সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি : বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর ফ্রিল্যান্সার দেশ

পরের সংবাদ

সিরাজগঞ্জে বসে হাজার হাজার ডলার আত্মসাৎ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আত্মসাতের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ফিন্যান্সিয়াল স্ক্যামার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো- মো. জিয়াউল হক ও মো. সাজিদ হাসান সেতু। গত মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
গতকাল বুধবার সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিসি আ ফ ম আল কিবরিয়া জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে একটি বিদেশি বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আত্মসাৎ ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন ধরনের প্রতারণার এই প্রক্রিয়াটির নাম ‘নিউ একাউন্ট ফ্রড’। সিরাজগঞ্জে বসে তারা হাজার হাজার আত্মসাৎ করত। গ্রেপ্তাররা প্রতারণার মাধ্যমে এই ডলার আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।
সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্র জানায়, আর্থিক প্রতারণার শিকার বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটিতে একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত তথ্য দেয়ার পাশাপাশি ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি একাউন্ট ভেরিফিকেশনের অংশ হিসেবে প্রতিটি নতুন রেজিস্ট্রেশন করা একাউন্টের বিপরীতে অনধিক ১ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ওই একাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক একাউন্টে সাময়িকভাবে দিয়ে থাকে। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এই অর্থ ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই ওই প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে রিটার্ন করে। গ্রেপ্তাররা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির এই একাউন্ট অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়ার সুযোগ নিত। তারা প্রথমে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশি-বিদেশি প্রতারক চক্রের কাছ থেকে পারফেক্ট মানি, ওয়েডমানি, পেয়োনিয়ার একাউন্ট ব্যবহার করে ভুয়া নাম ঠিকানা সংবলিত সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার ও বিদেশি ব্যাংকের বেনামে তৈরি করা একাউন্ট ক্রয় করত।
অনলাইন থেকে ক্রয় করা এই তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে তারা প্রতিটি ব্যাংক একাউন্টের বিপরীতে ওই বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটির ৩০০-৪০০টি ভুয়া একাউন্ট তৈরি করত। এভাবে একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য অর্থ একসঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে জমা হলে চক্রটি ওই অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফেরত যাওয়ার আগেই অন্য একটি ব্যাংক একাউন্টে সরিয়ে নিত।
এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য তারা মূলত গো টু ব্যাংক, চিমি ব্যাংক আন্তর্জাতিক মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করত। এ প্রতারক চক্রটি এ পর্যন্ত অসংখ্য ভুয়া একাউন্ট তৈরি করে হাজার হাজার মার্কিন ডলার প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়