এএসপি আনিসুল হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ভাড়া বাড়ানো কতটা যৌক্তিক

পরের সংবাদ

ই-কমার্সকে শক্তিশালী করতে চাই : কার্যকরী কৌশল ও ডিজিটাল ইকোসিস্টেম

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের ব্যবহারের বেড়েছে তড়িৎ গতিতে। পাশাপাশি করোনাকালীন সময় থেকে ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনাকাটাও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশে চাহিদা বেড়েছে ই কমার্স ও এফ কমার্স -এর। ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে অনলাইনে নিত্যপণ্যের বেচাকেনা ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, জার্মান পরিসংখ্যান পোর্টাল স্ট্যাটিস্টা জানায়, ২০২৩ সাল নাগাদ এই খাতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ই-কমার্স বাণিজ্যের বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ৪৬তম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে। ছোট ও মাঝারি অনেক উদ্যোক্তা এখন নিজেদের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর সাথে নিজেদের যুক্ত করছেন। ক্রেতাদেরও আস্থা তৈরি হচ্ছে তাদের পণ্যে।
আধুনিক প্রযুক্তির এই অসাধারণ সংযোজনটি মানুষের জীবনকে করে তুলেছে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। বিশ্বজুড়ে ই-কমার্স বহু আগে থেকে চালু হলেও বাংলাদেশে এর যাত্রা শুরু হয়েছে গত দশকের শুরুর দিক থেকে। ধীরে ধীরে মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে ই-কমার্স বাংলাদেশে বেশ সমাদৃত ও জনপ্রিয় একটি খাত হয়ে উঠেছে। তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে আনুমানিক আড়াই হাজার ই-কমার্স সাইট রয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বা এফ-কমার্সের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করছেন প্রায় ২ লাখ উদ্যোক্তা।
সম্ভাবনাময় এ খাতের ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রাখতে ও ভিত্তি মজবুত করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম ও কার্যকর মার্কেটিং কৌশলের। ইতোমধ্যে দেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো নিজেদের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। এতে ক্রেতাদের অনলাইন কেনাকাটা যেমন স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে উঠছে তেমনি বিক্রেতাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমও হচ্ছে সহজতর।
ই-কমার্স বা যেকোন ধরণের ব্যবসার জন্য প্রচারণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্বের প্রথম সারির ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন সময় নানা ধরণের ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। এসব ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে একইসাথে যেমন কম সময়ে বহু মানুষের কাছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বার্তা পৌঁছায় ও বেশি সংখ্যক ক্রেতার অন্তর্ভুক্তি ঘটে, তেমনি মানুষও সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের পছন্দের পণ্য কেনার সুযোগ পায়। উদাহারণ হিসেবে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা’র ১১:১১ ক্যাম্পেইনের কথা বলা যায়। তথ্যমতে, গত বছর এই ক্যাম্পেইনে তাদের মোট বিক্রির পরিমান ছিল ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও, প্রাইম ডে ক্যাম্পেইন, ব্ল্যাক ফ্রাইডে ক্যাম্পেইন ও ক্রিসমাস ডেসহ বিভিন্ন বিশেষ দিবস উপলক্ষে বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন চমকপ্রদ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। এসব ক্যাম্পেইন বিশ্বব্যাপী তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে যেমন স¤প্রসারিত করে, তেমনি বহু মানুষের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালুও বাড়ে। তবে, সফল একটি ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রেতাবান্ধব মার্কেটিং কৌশল প্রয়োগ করা জরুরি। এক্ষেত্রে, ক্যাম্পেইন চালুর প্রথমেই প্রয়োজন মার্কেট সম্পর্কিত গবেষণা। ক্যাম্পেইনের টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করে পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারন ও সঠিক পরিকল্পনা করাও অত্যন্ত জরুরী। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের অর্ডারকৃত পণ্যের ডেলিভারি দেয়ার সঠিক ব্যবস্থার নিশ্চিতে করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইনফ্লুয়েন্সারদের অন্তর্ভুক্ত করে ক্যাম্পেইনের সৃজনশীল প্রচারণার পরিকল্পনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও বিশ্বমানের ক্যাম্পেইনের আয়োজন করছে। দেশে ১১:১১ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করছে ইকমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজও। প্রতিবছর নভেম্বরের ১১ তারিখে বিশাল ছাড় ও ডিল নিয়ে এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে এই ইকমার্স প্রতিষ্ঠানটি। মেগা ভাউচার, ফ্রি ডেলিভারি সহ সব অফার থাকে এই ক্যাম্পেইনে। নিজস্ব ডিজিটাল ইকোসিস্টেম ও ৬৪ জেলায় ডেলিভারি ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে দারাজ সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য পৌছে দিয়ে ইতোমধ্যে এসব ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতাদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়