দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

ঝিনাইদহে ডায়রিয়ার প্রকোপ চিকিৎসাধীন ১১০ রোগী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ শহরের পৌর এলাকায় হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত দুই দিনে জেলা সদর হাসপাতালে দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গত বুধবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬০ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ১১০ জন। তাদের অধিকাংশেরই বাড়ি শহরের হামদহ, কাঞ্চনপুর ও মোল্লাপাড়া এলাকায়।
শুক্রবার সকালে সদর হাসপাতালের মেডিসিনি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বেড ও মেঝেতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের বেশির ভাগই নারী ও বয়স্ক।
আলহেরাপাড়া এলাকার জুয়েল নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, আমাদের পরিবারেরই তিনজন অসুস্থ হয়েছে। পরশু রাতে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখনো সুস্থ হয়নি। কয়দিন থাকা লাগবে তা বলতে পারছি না।
খন্দকারপাড়া এলাকার সোনালী নামের এক রোগী বলেন, হঠাৎ করে আমার মেয়ের পাতলা পায়খানা হয়েছে। তারপর আমার স্বামীর, এরপর আমারও হয়েছে। কিসের জন্য হলো তা বলতে পারছি না। আমরা তো টিউবওয়েলের পানি পান করি। সাপ্লাইয়ের পানি দিয়ে গোসল আর রান্না করি। শুধু আমাদের পরিবারেরই নয়, বাড়ির আশপাশের লোকজনেরও হয়েছে।
চৈতি নামের এক রোগী বলেন, স্যালাইনগুলো আমাদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। ওষুধও আমরা অনেক সময় পাচ্ছি না। রোগী বেশি হওয়ায় নার্সরাও সেবা দিতে পারছে না ঠিকমতো।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই বয়স্ক। শিশুরা কম আক্রান্ত হচ্ছে। পৌরসভার একটি এলাকা থেকে রোগী বেশি আসছে। বেশিসংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের জনবল কম। তারপরও চেষ্টা করছি তাদের সেবা দিতে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. জাকির হোসেন বলেন, রোগীরা বেশির ভাগই একটি নির্দিষ্ট এলাকার। এতে ধারণা করছি, কোনো খাবার বা পানির মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। যারা আক্রান্ত হয়নি তাদের প্রতি আমাদের পরামর্শ, তারা যেন পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি পান করেন এবং হাত ধৌত করেন। সেই সঙ্গে বাসি-পচা খাবার এড়িয়ে চলেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বয়স্ক মানুষের ডায়রিয়া হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সব জায়গা যোগাযোগ করেছি। আমাদের ওষুধ, স্যালাইন পর্যাপ্ত আছে। আশা করছি, এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়