সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

আগের সংবাদ

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান এখন ‘মেটা’

পরের সংবাদ

এমডি মো. আবদুর রাজ্জাক : করোনা মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গী জেএমআই গ্রুপ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সার্বক্ষণিক সরকারের পাশে আছে জেএমআই গ্রুপ। করোনা মোকাবিলা কার্যক্রমের শুরু থেকেই শিল্প গ্রুপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ভাইরাস প্রতিরোধী মাস্ক, গøাভসসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। এমনকি চলমান কোভিড-১৯ প্রতিরোধী গণটিকাদান কর্মসূচিতেও দেশের একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অটো-ডিজেবল সিরিঞ্জ সরবরাহ করছে জেএমআই।
গত বুধবার বিকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক। এর আগে তিনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শিল্প গ্রুপটির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস এন্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের পর্ষদ সভায় অংশগ্রহণ করেন। মো. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, জেএমআই কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নয়, এই শিল্পগ্রুপের অধীনে রয়েছে ২০টিরও বেশি উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা। এসব কারখানায় সাড়ে সাত হাজারের বেশি কর্মী নিয়োজিত আছেন। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড এবং চীনের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আছে জেএমআই গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে। এসব প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকাসহ বিশ্বের ৩৬টি দেশে। করোনার সময় সারাদেশ যখন খারাপ সময় পার করেছে, তখনো একদিনের জন্য বন্ধ হয়নি জেএমআই গ্রুপের শিল্পকারখানা। চাকরিচ্যুত করা হয়নি কোনো শ্রমিককে। এক প্রশ্নের জবাবে জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “করোনার টিকা দিতে এডি সিরিঞ্জ প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এই পণ্যের তীব্র সংকট চলছে। কোথাও মিললেও পরিবহন খরচ অনেক বেশি। এ কারণে অনেক উন্নত দেশেও টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের কারিগরি সক্ষমতা রয়েছে এডি সিরিঞ্জ উৎপাদনের। তাই সিরিঞ্জ নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত সরকার। আমাদের সরবরাহ করা সিরিঞ্জ দিয়ে এখন পর্যন্ত সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলেছে গণটিকাদান কার্যক্রম। বর্তমানে মাসে দুই কোটি পিস এডি সিরিঞ্জ সরবরাহ করছি আমরা।”
মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, “গত ২৮ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ৮০ লাখের বেশি মানুষকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচিতেও সরকারের পাশে সার্বক্ষণিক উপস্থিতি আমাদের। প্রথম ডোজ দেয়ার সময় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ৬৪ জেলায় নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ পৌঁছে দিয়েছি আমরা। ২৮ অক্টোবরের দ্বিতীয় ডোজ টিকাদানের জন্য এক কোটি সিরিঞ্জ সরবরাহ করেছি।”
জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক আরো জানান, এডি সিরিঞ্জ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা থাকায় সরকার ও দেশ তিনভাবে উপকৃত হচ্ছে। প্রথমত আমাদের শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের, দ্বিতীয়ত আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন হওয়ায় করোনার মতো মহামারির সময়েও নির্ভার থেকে বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় করেছে সরকার এবং তৃতীয়ত সরকারের হাতের নাগালে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছি আমরা।
এদিকে, বুধবার বিকালে অনুষ্ঠিত জেএমআই সিরিঞ্জেস এন্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সভায় টানা পঞ্চম বছরের মতো বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে প্রতি বছর ৩০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে জেএমআই সিরিঞ্জ।
বুধবারের বৈঠকে প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন দেয়া হয়। এসময় জানানো হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা শূন্য ৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. জাবেদ ইকবাল পাঠান, জেএমআই সিরিঞ্জেস এন্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক আব্দুল হক, এটিএম সেরাজুল সালেকিন চৌধুরী এবং মুস্তাফিজুর রহমান, জেএমআই গ্রুপের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, জেএমআই সিরিঞ্জেস এন্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা রনজিৎ চক্রবর্তী এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ তারেক হোসেন খান। বিজ্ঞপ্তি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়