দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন : বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ৮১ জন চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

পরের সংবাদ

স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা সেই প্রেমিকের মৃত্যু : কালিহাতী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : জেলার কালিহাতীর এলেঙ্গায় স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার হত্যার ঘটনায় আটককৃত মনিরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত বুধবার রাতে হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করে র‌্যাব।
বিষয়টি গতকাল দুপুরে র‌্যাব ১২-এর টাঙ্গাইল সিপিসি ৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আবদুল্লাহ আল মানুম নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহত সুমাইয়া আক্তার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। মনির উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। বুধবার সকালে সাড়ে ৬টার দিকে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে খুন হয় সুমাইয়া।
র‌্যাব কমান্ডার জানান, বুধবার দিনভর গোয়েন্দা তথ্য ও বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং হত্যার আগের নানা ঘটনা পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মনির জড়িত। পুলিশের কাছে জব্দকৃত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি মনিরের। এই ছুরি হাতেই নানা কসরত করা অবস্থার বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে সুমাইয়ার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মনিরের বিভিন্ন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রেম সংক্রান্ত বিষয় ও সম্প্রতি সম্পর্ক না থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই বিষয়ে তিনি আরো বলেন, সুমাইয়া ও মনির পূর্বপরিচিত। বিভিন্ন সময় মনির সুমাইয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। এতে সাড়া না পেয়ে বল প্রয়োগ ও মানসিক চাপে রাখত মনির। এ থেকেই তাদের সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়। পরে কয়েক মাস আগে সুমাইয়া মনিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এতে মনিরের সন্দেহ হয় সুমাইয়া অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এজন্য ঘটনার পাঁচ দিন আগে সুমাইয়াকে কানে আঘাত করে আহত করে মনির। এবং তা ভিডিও করে বন্ধুদের দেখায়। এরপরেও সুমাইয়া তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। সেই থেকে ক্ষুব্ধ হয় মনির। পরিকল্পনা করে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার। এ বিষয়টিও বিভিন্ন সময় মাদক গ্রহণ শেষে তার বন্ধুদের কাছে জানায়। এ হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে ঘাতক মনির প্রচুর পরিমাণ মাদক গ্রহণ করে। নানা তথ্য-উপাত্ত ও ভিডিও ফুটেজ থেকে তা নিশ্চিত হওয়ার দাবিও করেছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে সুমাইয়াকে হত্যা করে সেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন বা ধরন দেখে মনে হয়েছিল তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। পরে হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত ছুরিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় তা একটি গিয়ার ছুরি। যেটির সুইচ চাপলে বাটের দুই দিকেই সমান অংশ বের হয়। তাই পেটে ছুরি চালাতে গিয়ে ছুরির অপর অংশ ঘাড়ে আঘাত লাগতে পারে।

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এলেঙ্গা পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার খোকনের নির্মাণাধীন বাড়ির নিচতলার সিঁড়িকোঠা থেকে সুমাইয়ার মরদেহ ও আহত অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়