দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন : বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ৮১ জন চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

পরের সংবাদ

ইউএনওর কাছে অভিযোগ : বোয়ালমারীতে ইউনিক আইডি ফরম দিয়ে অর্থ আদায়

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীর পৌর সদরে অবস্থিত কাজী সিরাজুল মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইউনিক আইডির ফরম দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির হাজেরা খাতুন ও সাবিনা নামের দুই কলেজ শিক্ষার্থী বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। এছাড়া সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণের সময়ও অর্থ আদায় করে কলেজটি। গত সপ্তাহে ইউনিক আইডি ফরম বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কোনো শিক্ষার্থী যাতে ফরমটি ফটোকপি করতে না পারে সেজন্য ফরমে কলেজের সিল মেরে দেয়া হয়।
অভিযোগকারী কলেজ শিক্ষার্থী হাজেরা খাতুন জানায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেয়ার সময় আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছে। আবার ইউনিক আইডি ফরম দেয়ার সময় ১০০ টাকা নিয়েছে। বিষয়টি ইউএনওকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ সংবাদ পেয়ে অধ্যক্ষ আমাকে ১০০ টাকা ফেরত দিয়েছে। তবে অ্যাসাইনমেন্টের টাকা ফেরত পাইনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বলেন, গত ২৮ ও ২৯ আগস্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসের হলরুমে দুই দিনব্যাপী ইউনিক আইডি ফরম পূরণবিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণের শেষ দিন অংশগ্রহণকারী উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধানদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, ইউনিক আইডি ফরমসংক্রান্ত কোনো অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা যাবে না। ইউনিক আইডি বাবদ অর্থ আদায়ের ব্যাপারে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ইউএনও ওই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
ইউনিক আইডি ফরম বিতরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা নেয়ার ব্যাপারে মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের যখন ইউনিক আইডি ফরম দেয়া হয়, তখন আমরা কিছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা নেয়ার কোনো নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা ছিল না। নির্দেশনা পাওয়ার পর টাকা ফেরত দিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়