মিয়ানমার ছায়া সরকার ও মার্কিন প্রতিনিধির বৈঠক

আগের সংবাদ

ইএফডির দাম নিয়ে জটিলতা : দোকান নির্ধারণ করবেন ভ্যাট কর্মকর্তারা, বিপাকে পড়বেন ছোট ব্যবসায়ীরা

পরের সংবাদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : সংস্কার কাজে অনিয়ম

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মোট আটটি আবাসিক হলে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এসব হলের সংস্কার কাজে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম হল সাদ্দাম হোসেন হল পেয়েছে ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯০০ টাকা। এ হলের কাজ পেয়েছেন স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে হলের সংস্কার কাজে ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোনোরকম দায়সারাভাবে হলের বিভিন্ন সংস্কার কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ দিয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হলে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল এবং স্যানিটারি-প্লাম্বিং ক্যাটাগরিতে কাজ চলমান রয়েছে। যা এ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা। হলের সংস্কারকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই কাজের মান নিয়ে উঠেছে নানান অভিযোগ। অভিযোগ অনুসারে, হলগুলোতে ইলেকট্রিক ও প্লাম্বিংয়ের সংস্কারে কমদামি সুইচ, বাল্ব, টিউবলাইট, শাওয়ার ও ট্যাপকল ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে সিভিল সেকশনের মেরামত, প্লাস্টার ও রঙের কাজেও উঠেছে নানান প্রশ্ন। শিডিউলে উল্লেখিত রঙের পরিবর্তে কমদামি রং, সিলারের পরিবর্তে চুন ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্লাস্টারের কাজে জোড়াতালি, কাঁচা দেওয়াল শুকানোর আগে এবং শ্যাওলাযুক্ত দেওয়াল ভালোভাবে না ঘষেই যেনতেন করে রং করার অভিযোগ উঠেছে। এমন দায়সারা কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার কথা বলেছেন হলের কর্তাব্যক্তি ও শিক্ষার্থীরা। হল ডাইনিংয়ের ছাদ থেকে বৃষ্টির সময় চুঁইয়ে চুঁইয়ে পানি পড়ে। এ সংস্কার কাজে কোনোরকম ছাদ পরিষ্কার করে অপরিমেয় সিমেন্ট-বালু ব্যবহার করে নেট ফিনিশিং দেয়া হচ্ছে। এ কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজের মানের অপারগতা স্বীকার করে পুনরায় নেট ফিনিশিং দেয়া হবে বলে জানান। এছাড়া হলের বাথরুমের পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থাতেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই। সংস্কার কাজ তদারকিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর ও হল কর্তৃপক্ষেরও অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে হল খোলার পর সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। সারাদিন যন্ত্রপাতির টুংটাং শব্দ, ধুলা-বালি, আর ময়লা-আবর্জনায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় মনোযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
হলের ¯œাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবু জার বলেন, আমি দক্ষিণ ব্লকের চারতলায় থাকি। এ তলার বিভিন্ন রুম ও বারান্দায় ময়লার স্তূপ পড়ে আছে। মনে হচ্ছে এটা যেন হল না ময়লার ভাগাড়। এ পরিস্থিতিতে কোনোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছি না।
হলের সংস্কার কাজে ঠিকাদারের দায়িত্বে থাকা হাসান হোসেন বলেন, দেওয়ালে রং করার পর শুকালে আবার তা রং করা হচ্ছে। আমরা বাজেটের মধ্যে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। এ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে শেষ হতে এখনো ২০-২৫ দিন লাগবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশল (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সি শহীদ উদ্দীন মোহাম্মেদ তারেক জানান, আমি নিজে আমার টিম নিয়ে সাইট ভিজিট করেছি। কিছু কাজে আমি নিজেও সন্তুষ্ট হতে পারিনি। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের কড়া নির্দেশনা দিয়েছি। যে কোনো মূল্যে কাজের মান ভালো করতে চেষ্টা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়