পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে আছেন অর্ধলাখ প্রবাসী

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

পরের সংবাদ

সরবরাহ কম, দাম ঊর্ধ্বমুখী : নিষেধাজ্ঞা শেষে বরিশালের বাজারে ফিরেছে ইলিশ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম কে রানা, বরিশাল থেকে : ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে সোমবার মধ্যরাত থেকে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। গতকাল সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের মাছের আড়তগুলোতে ইলিশের দেখা মিলেছে। সকালে বরিশালের বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পোর্টরোড মোকামের ঘাটে ট্রলার, নৌকা ও স্পিড বোটে করে মাছ নিয়ে আসেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা। নৌযান থেকে আড়তদারদের গদির সামনে সেই মাছ নিতে শ্রমিকদের ছিল ব্যস্ততা। সেই সঙ্গে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় ঝিমিয়ে থাকা এ পাইকার বাজারে ইলিশ আসায় বিক্রিতেও অনেকটাই চঞ্চলতা লক্ষ্য করা গেছে। যদিও ইলিশের আমদানি কিছুটা কম। তবে সময়ের সঙ্গে বাজারে আমদানি বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীসহ মৎস্য কর্মকর্তারা।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম দিনে ইলিশের দাম নিয়ে কেউ কেউ সন্তোষ প্রকাশ করলেও বেশির ভাগ ক্রেতাই জানিয়েছেন ঊর্ধ্বমুখী দরের কথা। সেই সঙ্গে পুরনো মাছের আমদানি হয়েছে বলেও দাবি তাদের। ইফতেখার নামে একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে আজ স্থানীয় নদীর মাছের কথা বেশি বলছেন বিক্রেতারা। তবে কিছু মাছ এতটাই লাল হয়েছে যে সেগুলো ধরলেই নরম মনে হচ্ছে। অর্থাৎ এগুলো আরো আগে হয়তো নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ধরা হয়েছে। যদিও এ রকম কিছু করার সুযোগ পোর্টরোডের ব্যবসায়ীদের নেই বলে দাবি করে পাইকাররা বলছেন, ফিশিং বোটগুলো গতকাল ও আজ সকালে সাগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ২-১ দিনের মধ্যে সাগরের ইলিশ আসা শুরু করবে। আর তখন বাজারে ইলিশের কাক্সিক্ষত আমদানি হলে দরও কমে যাবে।
অপরদিকে গত রাত থেকে ভোর পর্যন্ত স্থানীয় নদীতে শিকার করা ইলিশ মাছগুলো নিয়ে যারা বাজারে এসেছেন তাদের মতে, সময়ের সঙ্গে ইলিশের আমদানি বাড়বে।
মাছ ব্যবসায়ী মালেক বলেন, নিষেধাজ্ঞায় প্রশাসনের কঠোরতার কারলে কেউ নদীতে নামেনি। তাই বাজারে যে মাছ এসেছে তা গত রাতে ধরা। বাজারে ইলিশের দর তেমন একটা বেশি ছিল না। আর এত অল্প সময়ে যে পরিমাণ মাছ পাওয়া গেছে তাও সন্তোষজনক। আশা করি, সামনে আরো ইলিশের আমদানি বাড়বে।
মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার জানান, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ মৌসুমে কেউ মাছ আহরণে নদীতে নামলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ব্যবস্থা আরো কঠিন হতে চলেছে। কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার এ সময়কে ঘিরে বিভাগের ছয় জেলার জেলে পরিবারের জন্য ছয় হাজার ৯৪২ দশমিক ৪৮ টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ফলে প্রতি পরিবার ২০ কেজি করে চাল পেয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়