কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার কয়রার বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে একই পরিবারের বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে কয়রা থানা পুলিশ। বাগালি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বামিয়া গ্রামে বসবাসকারী মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর পুকুরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থেেল এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- বামিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫) ও একমাত্র কন্যা হাবিবা খাতুন টুনি (১৩)। স্থানীয়রা জানান, হাবিবুর পেশায় দিনমজুর, মা বিউটি আক্তার গৃহিণী, মেয়ে হাবিবা স্থানীয় ঘুগরাকাটি ফাজিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গ্রামের লোকজন মেয়েটিকে সোমবার বিকালে বাড়ির সামনে রাস্তায় বের হতে দেখেছিল। গতকাল ৭টার দিকে প্রতিবেশী মহিলা ওই পুকুরে খাবার পানি সংগ্রহকালে লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা জানান।
কয়রা থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। তিনজনের মাথা ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মহিলার গলায় ফাঁস দেয়ার চিহ্ন রয়েছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এখনো জানা যায়নি। তবে সুরতহাল তদন্ত শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) ডি সার্কেল সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারসহ আলামত সংগ্রহ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে একই পরিবারের ওই তিনজনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর মরদেহ গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চারজন প্রতিবেশীকে নিয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।