পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে আছেন অর্ধলাখ প্রবাসী

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

পরের সংবাদ

কপ-২৬ নিয়ে উদ্বেগ : জলবায়ু সম্মেলনে যাবেন না চীনের নেতা শি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বকে পরিবেশবান্ধব জ¦ালানির দিকে নিয়ে যাওয়া এবং এর অর্থায়নের পথ নির্ধারণের লক্ষ্যে আগামী রবিবার স্কটল্যান্ডের গø্যাসগো শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জলবায়ু বিপর্যয়ের অন্যতম অনুঘটক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে আরো কঠোর কৃচ্ছ¡তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। কিন্তু হঠাৎ জানা গেল, বিশ্বে সর্বোচ্চ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশ চীনের নেতা সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজেই এই সম্মেলনে যোগ দিতে পারছেন না।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শির অনুপস্থিতির অর্থ, গত বছর গ্রিন হাউস গ্যাস কমানোর জন্য তিনটি বড় প্রতিশ্রæতি দেয়ার পর এবারের সম্মেলনে এসে নতুন কোনো ছাড়ের আশ্বাস দিতে পারছেন না তারা। রয়টার্স বলছে, এবারের জলবায়ু সম্মেলনে শির বদলে দেশটির উপপরিবেশমন্ত্রী ঝাও ইংমিন এবং দেশটির শীর্ষ জলবায়ু দূত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিয়া জিনহুয়া চীনের নেতৃত্ব দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেইজিংয়ে গ্রিনপিসের জ্যেষ্ঠ জলবায়ু উপদেষ্টা লি শুও বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার। কপ-২৬ সফল হওয়ার জন্য অন্য কার্বন নির্গতকারী দেশগুলোর পাশাপাশি চীনের শক্তিশালী সমর্থনের দরকার। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী যে গ্যাস, সেই কার্বন-ডাই অক্সাইডের তৃতীয় বৃহত্তম উৎস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত কপ-২৬ সম্মেলনে যোগদান নিশ্চিত করেছেন আগেই।
অন্য বিশ্ব নেতাদের মতো তাকেও দ্রুত কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রæতি এবং ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে একটি সময়সীমা নির্ধারণের জন্য সম্মেলন আয়োজকদের চাপের মুখে পড়তে হবে।
গত বছর সবাইকে অবাক করে দেয়া এক ঘোষণায় শি ২০৬০ সালের মধ্যে চীনকে কার্বন নিরপেক্ষ দেশে পরিণত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরিবেশবিষয়ক এক পরামর্শদাতা বলছেন, আরো উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে চীন আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে ইচ্ছুক হবে না, বিশেষ করে এমন এক সময়ে, যখন তারা নিজ দেশেই জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এই কর্মকর্তা আরো বলেন, বেইজিং এরই মধ্যে তার সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে বসে আছে।

২০১৯ সালের শেষ দিকে কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর থেকেই চীনের প্রেসিডেন্টকে উচ্চপর্যায়ের একাধিক বৈশ্বিক সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। এ মাসের শুরুতে চীনের কুনমিংয়ে যে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো, সেখানেও গরহাজির ছিলেন শি। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বিদ্যমান কূটনৈতিক বিরোধের বাইরে জলবায়ুকে পুরোপুরি ‘স্বতন্ত্র’ ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করার জন্য মার্কিন উপরোধ চীন খারিজ করে দেয়ার পর এবারের জলবায়ু সম্মেলনে উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, বলছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। অবশ্য শি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি উপস্থিতি হতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা। তাদের মতে, আরো বেশি ছাড় দেয়ার পরিবর্তে এবারের সম্মেলনে চীন ও ভারতের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকতে পারে প্যারিস চুক্তিতে জলবায়ু অভিযোজন ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি স্থানান্তরের লক্ষ্যে ধনী দেশগুলো প্রতি বছর ১ হাজার কোটি ডলার দেয়ার যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নে শক্তিশালী একটি চুক্তি করা। ২০১৫ সালে যে প্যারিস চুক্তি হয়েছিল, সে সম্মেলনে অবশ্য সশরীরেই উপস্থিত ছিলেন শি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়