কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১২ কেজি ওজনের ১০৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বিমানবন্দরের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। দেশে চোরাইপথে যে স্বর্ণ আসে তার একটি বড় চালান পাশের দেশে চলে যায়। কারণ সেখানকার মানুষের স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ ও চাহিদা বেশি। এই স্বর্ণের বিনিময়ে অস্ত্র ও মাদকের লেনদেনও হয়।
প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুর রউফ। গতকাল সোমবার দুপুরে কাকরাইলের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মহাপরিচালক আব্দুর রউফ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, দুবাই-চট্টগ্রাম ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নম্বর বিজি-৪১৪৮ এর মাধ্যমে চোরাচালানকৃত স্বর্ণ আসতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সদস্যরা সতর্কতামূলক অবস্থান নেন। পরে দুবাই থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইট গত রবিবার আনুমানিক রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর উড়োজাহাজের ভেতরে রামেজিং বা বিশেষ তল্লাশির জন্য প্রবেশ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এসময় কার্গো হোল্ডের মাঝখানের প্রবেশ মুখের বামদিকে ফ্লোরে তিনটি কাপড়ের বেল্টের ভেতরে লুকানো কালো স্কচ টেপে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট খুলে ১০৪টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় ১২ কেজি। আনুমানিক বাজারমূল্য সাড়ে ৮ কোটি টাকা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কাস্টম মহাপরিচালক বলেন, দেশে প্রতি বছর স্বর্ণের চাহিদা ১৬-২৬ টন। চোরাই পথে যে স্বর্ণ আসে তার একটি বড় চালান পাশের দেশে চলে যায়।
কারণ ওই দেশের মানুষের স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ ও চাহিদা বেশি। এ কারণে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এই স্বর্ণের বিনিময়ে অস্ত্র ও মাদকের লেনদেন হয়। এ ঘটনায় একটি বিভাগীয় ও একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।