কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু কিছু স্থানে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে এমন কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূল থেকে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিষদের মনোনয়নের জন্য প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা তারপর জেলা হয়ে কেন্দ্রে নামের সুপারিশ আসে। নাম তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোনোরূপ স্বজনপ্রীতি ও লোভের বশবর্তী না হয়ে এবং প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য গোপন না করে এর আগেও নাম পাঠানোর জন্য দলীয়ভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য সম্পর্কে কাদের বলেন, মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের বক্তব্য আত্মঘাতী প্রবণতা ছাড়া আর কিছুই নয়। নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রশ্নে বিএনপি এখনো পুরনো ধুসর পথে হাঁটছে। প্রকৃতপক্ষে সময় ও ¯্রােতের মতো নির্বাচনও বসে থাকবে না। নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়, তবে তা ব্যালটের মাধ্যমে নয়, ভিন্ন কোনো অগণতান্ত্রিক এবং চোরাগলি পথে।
বিএনপি আরো একটি ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্নে বিভোর উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে হয় না। দেশের জনগণের ধ্যান-ধারণা বদলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণ এখন উন্নয়নপ্রিয়, ভবিষ্যৎদর্শী। যারা গুজব ও অপপ্রচারকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে, তাদের চেহারা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে আটকা পড়েছে, তাইতো তারা এখন উভয় সংকটে, না পারছে আন্দোলন জমাতে, না পারছে নির্বাচনে যেতে। প্রকৃত অর্থে বিএনপিই এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে, তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে। বিএনপি ষড়যন্ত্র ও গুজবনির্ভর, তাদের রাজপথে কোনো অস্তিত্ব নেই- উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের অস্তিত্ব শুধু ফেসবুক আর অনলাইনে। এসব কি বিএনপির দেউলিয়াত্বের লক্ষণ নয়?