ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ : মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই

আগের সংবাদ

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ডিজিটাল ছোঁয়া

পরের সংবাদ

ডেন্টালে ভর্তির আশ্বাসে ১০ লাখ টাকা দাবি : প্রতারক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাইয়ে দেয়ার আশ্বাসে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে ভুয়া পরিচয়পত্র, একাধিক এনআইডি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে ডিবি ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করলে গত রোববার রাতে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে মো. আবু মুসা আনসারী নামের ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মামলায় ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তার মেয়ে গত ১০ অক্টোবর ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু মেয়ের ফলাফল খারাপ হয়। পরবর্তীতে ১২ অক্টোবর পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর আসামি মুসার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়ের বাবার পরিচয় হয়। মুসা নিজেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর মেয়ের রোল নম্বর চেয়ে নেন। তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করে জানান যে, তার মেয়ের রেজাল্ট ভালো হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী ডেন্টালে চান্স পেয়েছেন কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে তার নাম আসেনি। তবে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ডেন্টালে ভর্তি করিয়ে দিতে পারবেন বলে মিথ্যা আশ্বাস দেন মুসা। তাৎক্ষণিকভাবে এত টাকা দিতে অপারগতা দেখালে তাকে প্রাথমিক অবস্থায় দুই লাখ টাকা দিতে বলেন। বাকি টাকা ডেন্টালে ভর্তির পরে দিলেই হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, অভিযুক্তের কথা বিশ্বাস না করায় তখন ভিকটিমের ইমো আইডিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক কর্মকর্তার পরিচয়পত্র ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে ভুয়া কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠান। এসব দেখে ভিকটিম বিশ্বাস করেন সে মুসা সত্য কথাই বলছেন। এ জন্য যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক সড়কের রেটিনা কোচিং সেন্টারের সামনে চাহিদা মোতাবেক মুসাকে দুই লাখ টাকা প্রদান করেন। দেয়ার পর দিন মুসাকে ফোন দিয়ে রেজাল্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, আজকের মধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এক লাখ টাকা দিতে হবে। তা না হলে রেজাল্ট পরিবর্তন হবে না।
তখন বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয় ওই শিক্ষার্থীর বাবার। তখন মুসার কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখায় মুসা। এ ঘটনায় গত শনিবার যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগে হস্তান্তর হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রোববার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়