ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ : মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই

আগের সংবাদ

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ডিজিটাল ছোঁয়া

পরের সংবাদ

জাসদের গোলটেবিল : ধর্মান্ধদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বিএনপির

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজনীতিবিদরা বলেছেন, বিএনপি যতদিন ধর্মান্ধদের মাথার ওপরে ছাতা ধরে রাখবে, ততদিন উগ্রবাদীদের আক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাবে। কারণ, ধর্মান্ধ চক্রের সঙ্গে বিএনপির একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। এরা মানুষকে বিভাজন করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের নীলনকশা কখনোই সফল হবে না।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) আয়োজিত ‘সা¤প্রতিক সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাস : রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাসদ সভাপতি জাতীয় সংসদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরীকত ফেডারেশনের নজীবুল বশর মাইজভাণ্ডারি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা সবাই ধর্মান্ধ উগ্রবাদী ও সা¤প্রদায়িক জঙ্গিবাদী চক্রের ধ্বংস কামনা করছি। আজকের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, উগ্রবাদীদের আক্রমণ বাংলাদেশে আর হবে না। এটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রশ্ন। এই প্রশ্ন নিষ্পত্তি করতে ধর্মান্ধ শত্রæদের চিহ্নিত করতে হবে। কারণ, এই ধর্মান্ধ চক্রের একটা সংযোগ আছে। এদের সম্পৃক্ততা আছে রাজাকারের সঙ্গে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে, পাকিস্তানপন্থির সঙ্গে এবং সর্বশেষ এই ধর্মান্ধ চক্রান্তের একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে বিএনপির সঙ্গে। এই চার মাত্রার সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এই উগ্রবাদীর উৎপাদন হচ্ছে। এখানে ভয়াবহ তাণ্ডব করছে।
তিনি বলেন, আজকে যদি বাংলাদেশে ধর্মান্ধদের আক্রমণের পুনরাবৃত্তি আমাদের ঠেকাতে হয়, অসা¤প্রদায়িক সরকারের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হয়, তাহলে অসা¤প্রদায়িক প্রশাসন দরকার। একটি অসা¤প্রদায়িক রাজনৈতিক অঙ্গন, দল এবং সংবিধান দরকার। এই জিনিসগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে একটা নিরাপদ আবাসস্থল করে তুলতে হবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের সংঘবদ্ধ চক্র মানুষকে বিভাজন করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের সেই নীলনকশা কখনোই সফল হবে না। আজ যে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, ধর্মীয় সহাবস্থানকে নষ্ট করছে, তাদের সমূলে উৎপাটন জরুরি হয়ে পড়েছে। ধর্মীয় বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা আমাদের মতো অসা¤প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্টের ঘটনার পর পরই অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেই সহিংসতাকারীরা চিহ্নিত হচ্ছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আগমনী বার্তা দিয়েছেন। স¤প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই। সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ হতে হবে বাংলার মুজিব আদর্শের উত্তরাধিকারদের দ্বারা; তাহলে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ সম্মিলিতভাবে বেঁচে থাকার প্রয়াস সফল ও সার্থক হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়