ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ : মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই

আগের সংবাদ

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ডিজিটাল ছোঁয়া

পরের সংবাদ

চরফ্যাশনের চরাঞ্চলে নেই পর্যাপ্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে : পড়াশোনার ইচ্ছে থাকলেও তার উপায় নেই চরফ্যাশনের চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের। চরে পর্যাপ্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা শেষেই থমকে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। শিক্ষা সুযোগ বঞ্চিত হয়ে বাল্যবিয়েসহ নানা সামাজিক বিচ্যুতি ও চরভিত্তিক নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে তারা।
জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার অধীনে অনেক চর রয়েছে। যার মধ্যে জনবসতিপূর্ণ ঢালচর, চরনিজাম, চরকুকরি-মুকরি, চরপাতিলা, মুজিবনগর, সিকদারেরচর, চরহাসিনা, খুড়চিরচর, চরফারুকী, চরমোতাহার, চরমনোহর, লক্ষ¥ীরচর, চরলিউলিন, চরকচুয়াখালি, চরআশ্রাফআলমসহ ছোট-বড় ১১টি চর মূল ভূখণ্ড থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন। আর এসব চরাঞ্চলে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই হযবরল বলে জানান স্থানীয়রা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চরকুকরি-মুকরিতে ননএমপিও একটি দাখিল মাদ্রাসা ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম ঢালচরে একটি দাখিল মাদ্রাসা ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মুজিবনগরে একটি দাখিল মাদ্রাসাসহ একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব চরে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার তথ্যমতে চরগুলোতে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজারের বেশি শিশু শিক্ষার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংকটে পড়ালেখার সুযোগ বঞ্চিত হয়ে শিশু শ্রমে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে বাড়ছে মেয়েদের বাল্যবিবাহ শিশুশ্রম এবং নানান অপরাধমূলক কাজেও লিপ্ত হচ্ছে কিশোরেরা। চরনিজামের বাসিন্দা খলিল উদ্দিন, ফোরকান মাঝি, জিয়াউদ্দিন লাবলু, আবদুল, হক ও পশ্চিম ঢালচরের বাসিন্দা আবুল কালাম, বিবি জলেখাসহ গোলবাহারা বলেন, চরে বিদ্যালয় না থাকা এবং শিক্ষকরা অনুপস্থিত ও শিক্ষক সংকটে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করানোর মন মানসিকতা থাকার পরও সন্তানদের শিক্ষিত করতে পারছি না। পাতিলার চরের বাসিন্দা আবুল ফজল বলেন, আমাদের চর থেকে চর কুকরি-মুকরির স্কুলে যাতায়াত করতে হয় নৌকা দিয়ে। যার ফলে ছেলেকে কাজে দিয়ে দিয়েছি। পশ্চিম ঢালচর দাখিল মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন, চরটি দ্রুত ভেঙে যাচ্ছে। যার ফলে নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় শিক্ষার্থী সংকটের পাশাপাশি মাদ্রাসায় জনবল সংকটও রয়েছে। কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, চরাঞ্চলগুলোতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলে পিছিয়ে পড়া চরের শিক্ষার্থীদের লালিত স্বপ্ন পূরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে। মেয়েদেরও মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন নিশ্চিত হবে। এসব চরের শিক্ষার্থী ইচ্ছে থাকার পরও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংকটে শিক্ষা সুযোগ বঞ্চিত হয়ে গরু চড়ানো, জেলেদের সঙ্গে মৎস্য শিকারে যাওয়াসহ ক্ষেত খামারের বিভিন্ন কাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়